মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মানবিক চিকিৎসক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী–রওশন এরশাদ
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃবীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় মৃত্যুবরণ করেন( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
বুধবার (১২এপ্রিল)বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের
মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতার সহকারী একান্ত সচিব মামুন হাসান প্রেরিত এক শোক বাণীতে
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন,১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলায় বিশেষ ভূমিকা ছিল জাফরুল্লাহ চৌধুরীর।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মানবিক চিকিৎসক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী শুধু নিজেকেই দেশের সেবায় নিয়োজিত করেননি, উদ্বুদ্ধ করেছেন আরও এক গুচ্ছ মানুষকে।প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর রাষ্ট্র পরিচালনার সময় জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজকের বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উজ্জ্বল অনেক মানুষই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রেরণা, তাগাদা এবং দিশা ধরে দেশকে এগিয়ে দিয়েছেন। তার এ অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে।
বিরোধীদলীয় নেতা মরহুমের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।