ঢাকা | ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪ - ১১:২৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

পটুয়াখালীতে মাদক ব্যবসায়ী রেজাউলের অত্যাচারে বাড়ি ছাড়া সংখ্যালঘু ও মুসলিমরা

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Wednesday, May 3, 2023 - 7:55 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 39 বার

মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)স্টাফ রিপোর্টার:পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের ধরান্দী গ্রামের রাজ্জাক মৃদার ছেলে রেজাউল করিম (৩২)। পটুয়াখালী সদর থানায় অন্তত ৫-৬টি মামলার আসামি। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসহ তিন বার পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল খাটেছে এই মাদক ব্যবসায়ী।

এবার জেল থেকে বের হয়ে শুরু করেছে স্থানীয় দরিদ্র ও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন। নানান তালবাহানায় হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে তাদের কাছে। টাকা দিতে না চাইলে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্য চালানো হয় নির্যাতন।

বুধবার (৩রা মে) সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী আসমা ও ৭নং ইউপি সদস্য মনির সিকদার জানান, রেজাউলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই হয়েছেন এলাকা ছাড়া। হামলা ও মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

আসমা জানান, গত ২৩ এপ্রিল গভীর রাতে রেজাউল করিম ও তার সাঙ্গপাঙ্গ মোসলেম রাড়ির ছেলে ছালাম রাড়ি ও ছালাম রাড়ির ছেলে মিজানুর রাড়ি উত্তর ধরান্দী গ্রামের নয়ন খানের ছেলে হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী আসমা বেগমের উপর মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যা চেষ্টা করে।

এঘটনায় হামলার শিকার হাবিবুর পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলেও জানান আসমা বেগম। পরে গত ২৬ এপ্রিল পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা দায়ের করে। সিআর মামলা নং ৬৩৭/২০২৩।

এদিকে হামলার সময় অন্য দুজন পালিয়ে গেলেও কৌশলে রেজাউল করিমকে ধরে ফেলে হাবিব। পরে স্থানীয়রা ডাকাত সন্দেহে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী রেজাউলকে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় রেজাউল কে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশের থেকে ছাড়া পেয়ে যায় রেজাউল।

ছাড়া পেয়ে উল্টো ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ এলাকা ছাড়া করেছেন স্থানীয় দরিদ্র মুসলিম ও হিন্দুরদের।
দিনের পর দিন পরিবার থেকে বিছিন্ন হয়ে যাযাবর জীবন যাপন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির সিকদার বলেন, রেজাউল একজন অপরাধী। তার বিরুদ্দে কেউ কথা বললে অত্যাচার নির্যাতন করে তাকে এলাকা ছাড়া করে। একজন অপরাধী কাছে শতশত মানুষ অসহায়। আমরা স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে একটি সুন্দর সমাধান চাই। এলাকায় শান্তি চাই।

এসময় উত্তর ধরান্দী এলাকার ওমরি রায়ের ছেলে সুনীল রায়(৫৫) ও জয়দেব রায় (৬০), মনু খানের ছেলে বশির খান (৪৫) এজাহার খানের ছেলে নাসির খান (৫৫) আজাহার হাওলাদারের ছেলে হানিফ হাওলাদার ও মিলন হাওলাদার এবং আব্দুল খানের ছেলে করিম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন বলে জানান।