কেরানীগঞ্জে যুবককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে দোলেশ্বর এলাকাবাসী ব্যানারে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকার সাধারন মানুষ। এসময় নিহত মনিরের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।তাদের দাবী এঘটনায় মামলা হলেও হত্যার ৭দিন অতিবাহিত ও আসামীরা আটক না হওয়ায় পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। আসামীদের আটক করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন এলাকাবাসী ও মনিরের স্বজনরা। প্রায় শতাধিক মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।গতকাল শনিবার দুপুরে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়ন এর কলেজ রোডের পশ্চিমপাড়া তিন রাস্তা মোড়ে এ প্রতিবাদ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিভিন্ন প্লে কার্ড ও ব্যানারে শ্লোগান ছিলো হত্যাকারীদের আটক কর, ফাসি চাই,ফাসি কার্যকর কর? মনির হত্যার খুনিদের আটক করতে হবে! মনিরের স্ত্রী হালিমা বেগম তার স্বামী হত্যার ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা ৩ আসনের সংসদ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীসহ প্রশাসনের কাছে এ হত্যা কান্ডের সঠিক বিচার দাবী করেন। এ প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোঃ শামীম হোসেন, জসিম হোসেন ,নিহত মনিরের বড় ভাই ইমান আলী, ছোট ভাই মোঃ জাকির হোসেন,নিহত মনিরের মা আনোয়ারা বেগমসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ২৯ এপ্রিল শনিবার মনিরকে পিটিয়ে তিন পাশন্ডমিলে হত্যা করে। এর আগে খালেক, মালেক রহিত সহ কয়েকজনকে মাদক নেশা বিক্রিতে বাধা দেয়া কাল হলো মনিরের। নেশা বিক্রিতে বাধা দিলে তাদের মধ্যে জগড়া হয়। ২৮ এপ্রিল এলাকার মুরুব্বিরা এ ঘটনা মিলিয়েদেন। গত ২৯ এপ্রিল শনিবার মসজিদ থেকে মনিরের ভাই জাকির যোহরের নামাজ আদায় করে বের হওয়ার সময় আসামীরা তার পথরোধ করে একপর্যয়ে তাকে মারধর করলে চিৎকার শুনে মনির এগিয়ে দেখে তার ভাইকে পথ আটকিয়ে মারধর করছে খালেক মালেক ও রহিত মনির গেলে তাকে কাঠ ও ইটদিয়ে পিটিয়ে মাথা থেতলে ফেলে লোকজন চারদিক থেকে পড়লে আসামী খালেক মালেকরা পালিয়ে যায়। এসময় মনিরের অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিরের মৃতু হয়েছে বলে জানান। এসময় আরো ২ জন আহত হলে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসে।
এ বিষয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্জামান বলেন গত ২৯ এপ্রিল দোলেশ্বর এলাকায় একটি মারামারির ঘটনা ঘটে এ সময় একজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।