ময়মনসিংহে ভাষা সৈনিক শামসুল হকের কবরে জেলা আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা ও স্মরণ সভা
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহে ১৮তম মৃত্যু দিবসে ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৫ বারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ এম.শামছুল হককে শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় স্মরণ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
জাতীয় এই বীরের স্মরণে সোমবার (২৯শে মে) বিকালে ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক টাউনহল মিলনায়তনে এক বিশাল স্মরণ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখা।
স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিলেন মরহুমের সুযোগ্য পুত্র গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, জেলা সিপিবি সভাপতি অ্যাড. এমদাদুল হক মিল্লাত, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সাদিক হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নজরুল ইসলাম চুন্নু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ডাঃ সুজিত বর্মন, মহানগর জাতীয় পার্টির আব্দুল আওয়াল সেলিম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শওকত জাহান মুকুল এর সঞ্চালনায় সভায় শামছুল হক এর সংক্ষিপ্ত কর্মজীবন উপস্হাপন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য প্রবীন নেতা মোঃ ফজলে রাব্বী। এর আগে সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এড মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এর নেতৃত্বে বিশাল গাড়ী বহর নিয়ে প্রয়াত শামসুল হক এর নিজ এলাকা তারাকান্দায় গিয়ে
বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজে মরহুম ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হকের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের নেতৃত্বে
জেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন-ফুলপুর-তারাকান্দার সিংহপুরুষ ময়মনসিংহ বাসীর গর্ব পাঁচ বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, ভাষা সৈনিক ফুলপুর তারাকান্দার চির স্বরণীয় মুখ বাংলার সূর্য সন্তান ভাষা মরহুম শামসুল হক সাহেব। (১৯৩০ সালের ২৯শে জানুয়ারি) ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ শহরে মিছিল শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং ঐ মিছিলে শামছুল হকের পাশে থাকা তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অমলেন্দু বাবু পুলিশের গুলিতে শহীদ হন । পরবর্তীতে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ শহরে বিশাল মিছিল নিয়ে বের হওয়ায় তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে মিছিল-মিটিং, পথসভা, পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণসহ নানামুখী আন্দোলনের তিনি নেতৃত্ব দেন।