ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৬:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

পীরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর মেঘা প্রকল্পের খনন কাজ বন্ধ করে দিলো ভূমি মালিকরা !

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Sunday, June 11, 2023 - 10:47 am
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 52 বার

রংপুর প্রতিনিধি ঃ গোটা দেশের ন্যায় রংপুরের পীরগঞ্জে ছোট নদী, খাল-বিল পুনঃ খনন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর মেগা প্রকল্পের আওতায় চৈত্রকোল হতে করতোয়া নদী পর্যন্ত ৬ হাজার ৭’শ ৮৫ মিটার মরা নদী খাল খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কতিপয় ভুমি মালিক। কর্তৃপক্ষ জানান, ‘মেসার্স শহীদ ব্রাদার্স-ঢাকা’ নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান খালটি খনন কাজ করছিল। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে মোট খনন কাজের অর্ধেক শেষ করলেও গত ১০দিন ধরে ৩টি গ্রামের হাতে গোনা কয়েকজন ভূমি মালিক বলপুর্বক খনন কাজ বন্ধ করে দেয়। উল্লেখ্য,সম্প্রতি কোন পূর্ববার্তা, প্রচারণা কিংবা ভূমি মালিকদের অবহিত না করেই খাল খননের কাজ শুরু করে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এতে এলাকায় জনরোষের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে ভূমি মালিকরা গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগ করেছেন জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহে। এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু ক্ষুব্ধ ভূমি জমি মালিকদের তোপের মুখে তারা কোন মন্তব্য না করেই ফিরে যান। জানা গেছে ,দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় এলাকার এক শ্রেনীর টাউট স্থানীয় ভুমি কর্মকর্তাদের যোগসাজোসে ওই জমিগুলো নিজেদের নামে করে নিয়ে খাজনা খারিজ সব কাগজপত্র করে নিয়েছেন। অথচ এসব সরকারি সম্পত্তি। এক সময়ে প্রবাহমান নদী/খাল ছিল। অভিযোগে ওই সম্পত্তিগুলো নিজেদের দাবি করা হয়েছে। খনন কাজে বাধাদানকারী ভূমির কথিত মালিক জয়নন্দনপুর গ্রামের আকমল হোসেন, খয়ের মিয়া, রউফ মন্ডল, কাওছার মিয়া মোনাইল গ্রামের শরিফুল ইসলাম, রজু মন্ডল, আব্দুল খালেক কাশিপুর গ্রামের ফরহাদ মিয়া, মোজাহারুল ইসলাম ও আফজাল মিয়া বলেন, আমাদের জীবন থাকতে আবাদী জমিতে খাল খনন করতে দেবোনা। খাল খনন করা হলে অনেক ভূমি মালিক আছেন তারা একেবারেই নিঃস্ব হয়ে যাবে। অপর প্রশ্নের জবাবে ভূমি মালিকরা বলেন, সরকার চাইলে অধিগ্রহণের মাধ্যমে ভূমি মালিকদের ন্যায্য মূল্য দিয়ে খনন কাজ করতে পারেন। তারা আরও বলেন, রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই মনগড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। এদিকে খনন কাজে বাধাদানের ফলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান। খাল খনন কাজে দশ দিন যাবত কযেকটি ভেকুসহ খনন কাজে নিযোজিত লোকজন বসে থেকেই মজুরি নিচ্ছে বলেও দাবি করা হয়। তারা আরও বলেন-কতিপয় অতি উৎসাহী মানুষ শুধু খনন কাজে বাধাদানেই নয়, আমাদের ব্যবহৃত ভেকুগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেয়াসহ শ্রমিকদের প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে আসছে। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তারা গত বৃহস্পতিবার রাতেই পীরগঞ্জ থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন- যাতে ঐ এলাকায় কোন প্রকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে।