অরল্যান্ডোতে রক্তাক্ত বিজয়ের আলোচনা
হাকিকুল ইসলাম খোকন যুক্তরাষ্ট্রঅরল্যান্ড বিজয়ের ঊনপঞ্চাশ বৎসর পূর্তিলগ্নে সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগরে উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় আজ ষোলই ডিসেম্বর বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাতটায়।
জুম্ সংযোগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট, বাংলাদেশ, ইউরোপের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এতে অংশগ্রহন করে। বাঙালির হাজার বৎসরের শৌর্য বীর্যের বিজয়ের গৌবৱান্বিত হওয়ার মহান দিনটিকে স্মরণ করে শ্রদ্ধায় -ভালোবাসায় -আলোচনায়। একাত্তরে সীমাহীন দুর্ভোগ, আত্মত্যাগ, সাগর নদী রক্তে এই জাতির সর্ব শ্রেষ্ঠ অর্জন বিজয় মুকুট শিরোধার্য করেছিল বাংলাদেশ। আর এটা সম্বব হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃতে। তাঁকে কেন্দ্রকরে আবর্তিত হয়েছে এদেশের ইতিহাস ,উন্মেষ ঘটেছিলো একটি জাতির জম্মগাঁথা।
জাতির জনকের আহবানে সাড়া দিয়ে সমগ্র জাতি জাপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে এবং ছিনিয়ে আনে বিজয়। পাকিস্তানী বাহিনী পরাজয় মেনে আত্মসমর্পন করে এই দিনে। বঙ্গবন্ধু ব্যতিরেকে এদেশের স্বাধীনতা ইতিহাস বিকাশ মুক্তি কোনোটাই সম্ভব হতোনা। যাঁদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা পরাধীনতরত সৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত হতে পেরেছি তাঁদের স্বরণে আজকের মহতী আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন মোআজ্জেম ইকবাল, সঞ্চালন করেন ফখরুল আহসান শেলী। প্রারম্ভে পবিত্র কুরআন পাঠ এবং এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয় বঙ্গবন্ধু , মুক্তি সংগ্রামের শহীদদের সন্মান জানিয়ে।
স্বাগত বক্তব্যে মোআজ্জেম ইকবাল মুক্তি যুদ্বের প্রেক্ষাপট , বঙ্গবন্ধুর অবদান ,মুক্তি যোদ্ধাদের বীরোচিত জীবনাসর্গ এর চিত্র তুলে ধরেন |লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল তা বিশ্লেষণ করেন ফখরুল আহসান শেলী। মহান বিজয়ের যুগপৎ আনন্দ বেদনার সৃতি তুলে ধরেন প্রাক্তন সভাপতি/ উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান মিলন এবং একইসাথে বঙ্গবন্ধু কিভাবে বাঙালির অপ্রাপ্তি যাতনার অবসান ঘটান তা উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদের ইউরোপীয় নেতা ও লেখক. মমতাজুল জোয়ার্দার বলেন সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সফল পরিণতি স্বাধীন বাংলাদেশ। ওই ভাষণের প্রতিটি শব্দে লুকিয়ে আছে বাঙালির আশা আকাঙ্খা, সংগ্রাম স্বধীনতা,মানবতা মুক্তির নির্দেশনা। মুক্তি যুদ্দের বীরত্ব গাঁথা, বাংলাদেশের উন্নয়ন, সপ্নের পদ্মা সেতুর বর্ননা, নতুন প্রজম্মের জন্য করণীয় কি এ সব নিয়ে বক্তব্য দেন সর্ব জনাব রুমেল হোসেন, করিমুজামান, শামসুস তোহা, আবিদ আমির, জসিম উদ্দিন, ইশতিয়াক বাবু, ইলিয়াস ঠাকুর, সামসুর রহমান সামু, কনক রেজা,শাজাহান কাজী, মহাম্মদ নূর।
উল্লেখ্য কিছু সংখক বাংলাদশের নেতারা জ্যুমে যথা সময়ে ডুকতে না পেরে ব্যাক্তিগত বার্তায় আক্ষেপ করেছেন। পরিশেষে জাতির জনক, তাঁর পরিবার সহ মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন শামসুস তোহা।