ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ১১:৪৬ অপরাহ্ন

সত্য গোপন করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের ৬ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Friday, December 18, 2020 - 12:03 am
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 73 বার

ফয়সাল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ মেডিকেল সার্টিফিকেটে (এমসি) সত্য গোপন করার অভিযোগে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ৬ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল প্রথম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা বেগমের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের মধ্যপাড়ার মৃত লালমোহন দাসের ছেলে সাজন রবিদাস বাদী হয়ে দায়ের করা এ মামলায় মেডিকেল অফিসার ডা. এবিএম মুছা চৌধুরী, মির্জা মো. সাইফ, সোলাইমান মিয়া, ফাইজুর রহমান ফয়েজ, খান রিয়াজ মাহমুদ ও রানা নূরুস সামসকে আসামি করা হয়। মামলার এজহারে বলা হয়, চলতি বছরের ১৭ই সেপ্টেম্বর রাতে সাজন রবি দাসের বাড়ি ভাংচুর করে দুষ্কৃতকারীরা। এসময় সাজন রবি দাস, তার স্ত্রী, সন্তানসহ ৭ জন দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে সাজন রবি দাসের অবস্থার অবনতি হলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় পরদিন ১৮ই সেপ্টেম্বর ১৬ জনকে আসামি করে সরাইল থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে ডা.এবিএম মুছা চৌধুরী, মির্জা মো. সাইফ, সোলাইমান মিয়া আহতদের আঘাত অনুযায়ী মেডিকেল সার্টিফিকেট ( এমসি) না দিয়ে প্রকৃত জখম গোপন করেন।

এই এমসি’র বিরুদ্ধে আদালতে না রাজি দিলে আদালত গত ৪ঠা নভেম্বর সিভিল সার্জন ও আরএমওকে তিন দিনের ভেতরে বোর্ড বসিয়ে পুনরায় মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান, খান রিয়াজ মাহমুদ ও রানা নূরুস সামস অসামঞ্জস্যপূর্ণ আরও একটি মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করেন। অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকৃত সত্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।