ঢাকা | ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪ - ১২:৩৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

গাছ উপড়ে সড়কে, কমলগঞ্জের সঙ্গে শ্রীমঙ্গলের সড়ক যোগাযোগ প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Friday, May 31, 2024 - 5:02 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 31 বার

রাজন আবেদীন রাজু, স্টাফ রিপোর্টার:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের ওপর শিকড়সহ উপড়ে পড়ে বেশ কিছু গাছ। এ কারণে কমলগঞ্জের সঙ্গে শ্রীমঙ্গলের সড়ক যোগাযোগ প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে।

ফায়ার সার্ভিস, বন্য প্রাণী বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুতের সদস্যদের সহযোগিতায় বিকেল ৩টার দিকে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।

গত ২৫মে থেকে হালকা বৃষ্টি হলেও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে কমলগঞ্জে একটানা ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। মাঝে মাঝে ১০ থেকে ১৫ মিনিট থেমে ফেরা শুরু হয় বর্ষণ।

বৃষ্টির কারণে উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি খুবই কম ছিল। খেটে খাওয়া মানুষজন ঘরের বাইরে বের হতে পারেননি। বৃষ্টির কারণে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কমলগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছে। বৃষ্টির কারণে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম ছিল। দূরদূরান্তের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারেনি।’

এদিকে, কয়েকেদিনের টানা বৃষ্টিতে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর মাগুরছড়া গ্যাস কূপ ও লাউয়াছড়া উদ্যানের প্রধান গেইট এলাকায় কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক ধারে বেশ বড় একটি গাছ শিকড়সহ উপড়ে পড়ে। এর মধ্যে দুটি বড় গাছ সড়কের ওপর পড়ে থাকার কারণে এই পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বেলা ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। গাছ পড়ে বৈদ্যুতিক তারও ছিঁড়ে পড়েছিল। বিদ্যুৎকর্মী, বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়ে থাকা গাছ কেটে সরানোর পর বিকেল ৩টার দিকে এই সড়কে যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। রাস্তায় গাছ পড়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় পথচারীদের।

হামজা বিন আব্দুল্লাহ ও শাহিন আহমদ নামের দুজন বলেন, খুব কষ্টে আছি। বৃষ্টি হচ্ছে, রাস্তাও বন্ধ, দুই ঘণ্টার উপরে আটকা রয়েছি।

এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, গাছটি অনেক বড়। সেটা কেটে রাস্তার এক পাশে রাখা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ ভালোভাবে করা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ ও আমাদের বন বিভাগের সদস্যরা মিলে রাস্তার এক পাশ বন্ধ রেখে গাছগুলো সরানোর পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শুক্রবার অতিরিক্ত লোকজন এনে পুরো রাস্তা থেকে গাছ সরিয়ে ফেলে স্বাভাবিক করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।