বালাগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জুন-জুলাই মাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল জব্দ করে পুড়ে ধ্বংস করা হয়। প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক এর নেতৃত্বে এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
হাওড় অঞ্চলে দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ রক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার (০৭ জুলাই) উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে সকাল থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত অভিযানে পূর্বপৈলনপুর, বোয়ালজুর (আংশিক), বালাগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান করে আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ চায়না দুয়ারী (ম্যাজিক), মশারী (কাপড়ী) জাল, কারেন্ট জাল জব্দ করে উৎসুক জনতার সামনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্মা জুয়েল আহমদ, জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র বনিক (অ:দা:) ও বালাগঞ্জ থানার একদল পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। জনসম্মুখে জাল পুড়ানোর সময় উপস্থিত ছিলেন, পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সঞ্জয় চক্রবর্তী, উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যকরি সদস্য রজত চন্দ্র দাস ভূলন, স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
অভিযান শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক বলেন, বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্বপৈলনপুর, বোয়ালজুর (আংশিক), বালাগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ জাল গুলো জব্দ করে জনসম্মুখে পুড়ে বিনষ্ট করা হয়। অবৈধ জাল দিয়ে ছোট মাছের পোনা ও মা মাছ ধরে ফেললে মাছের সংকট এবং আমিষের ঘাটতি দেখা দিবে। পরিশেষে সবাইকে মা মাছ ও ছোট পোনা মাছ না ধরার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, চলমান বন্যায় দফায় দফায় মোবাইল কোর্ট করে আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল বিনষ্ট করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় ভেসে গেছে হাওরের পোনা মাছ সহ পুকুর, দিঘী ও মৎস্য খামার, আনুমানিক ক্ষতির পরিমান ১০ কোটি টাকা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট মাছ না ধরার জন্য মাইকিং করে প্রচার প্রচারণা করা হয়। জেলে সহ সাধারণ মানুষ ও গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষার জন্য মতবিনিময় করা হয়েছে এবং সতর্কীমূলক লিপলেট বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।