নাচোল মেয়র কে দুর্নীতি থেকে বাঁচাতে সচিব ও হিসাব রক্ষকের কান্ড
নাচোল প্রতিনিধি:-চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৌরসভার মেয়র ও পৌর আ.লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ কে ভবন নির্মাণের ৬০লাখ টাকা আত্মসাত থেকে বাঁচাতে এবার পৌরসভার সচিব ও হিসাব রক্ষককের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের কাছে থেকে ব্যাক ডেট দিয়ে বেতন ভাতার পত্রে সহি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত কাল রবিবার দুপুরে নাচোল পৌরসভার হিসাব রক্ষক কক্ষে পৌরসভার কর্মচারীদের কাছ থেকে ব্যাক ডেট দিয়ে বেতন ভাতার পত্রে সহি করান হয়।
জানা যায়,নাচোল পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন ঝালু পৌরভবন সম্প্রাসরণের ৬০লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন মর্মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জণৈক এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন।সেই অভিযোগ তদন্তে গত বুধবার পৌরসভায় আসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিডি এলজি দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও।কিন্তু তদন্তে মেয়র টাকা আত্মসাত করেন নি এমন কোন তথ্য বা প্রমান তদন্ত কর্মকর্তা কে দেখাতে পারেন নি মেয়র।
পরে গত রবিবার দুপুরে নাচোল পৌরসভার সচিব এবং হিসাব রক্ষকের নির্দেশে গত ২০১৮ এবং ২০১৯ অর্থ বছরে ভবন নির্মাণের ৬০লাখ টাকা থেকে কর্মচারীদের অনুরোধে বেতন পরিশোধ করা হয় মর্মে ব্যাক ডেট দেখিয়ে গতকাল রবিবার পৌরসভার কর্মচারীদের কাছে থেকে বেতন ভাতার পত্রে সহি নেওয়া হয় বলে নাম না প্রকাশে অনেক কর্মচারী অভিযোগ করেন।ব্যাক ডেট দিয়ে বেতন ভাতার রেজিস্টার বহি তদন্তকারী কর্মকর্তা কে জমা দেওয়া হবে বলে কর্মচারীদের ধারনা।কর্মচারীদের সকল বক্তব্য রেকর্ড রয়েছে প্রতিনিধির কাছে।
এবিষয়ে নাচোল পৌরসভার প্রধান সহকারি সানুয়ারা খাতুন বলেন,হিসবা রক্ষক সোহেল রানার নির্দেশে আমি কর্মচারীদের কাছে থেকে ব্যাক ডেট দেখিয়ে বেতন ভাতার পত্রে সহি নিয়েছি।
এবিষয়ে নাচোল পৌরসভার অতিরিক্ত সচিব খাইরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।তবে হিসাব রক্ষক সোহেল রানা বেতন ভাতার পত্রে আজ কর্মচারীদের কাছে সহি নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।