ঢাকা | ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪ - ১২:৩১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

তানোরে ইউনিয়ন পরিষদে উন্নয়ন সহায়তা বরাদ্দের টাকা তছরুপ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Friday, October 4, 2024 - 5:40 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 12 বার

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান: রাজশাহীর তানোর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ ইউপির উন্নয়ন সহায়তা তহবিল বরাদ্দের টাকা তছরুপ করেছেন চেয়ারম্যান ও সচিবরা বলে অভিযোগ উঠেছে। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে বরাদ্দ গুলো তাদের দোসর ইউপির চেয়ারম্যানরা মহা আনন্দে হরিলুট করেছেন। একই প্রকল্প বারবার দেখিয়ে বরাদ্দের পুরো টাকায় লোপাট করেছেন আওয়ামী লীগ পন্থী চেয়ারম্যানরা বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণের আগে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন ইউপি সদস্যরা।

জানা গেছে, প্রতি অর্থ বছরে দুই ধাপে উন্নয়ন সহায়তার বরাদ্দ দেয়া হয় ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে। বিগত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের শুরুর দিকে প্রথম বরাদ্দ এবং জুন মাসে দ্বিতীয় বরাদ্দ দেয়া হয়। উপজেলার সাত ইউনিয়নে এসব বরাদ্দ ভূয়া ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে লোপাট করেন সাবেক এমপি ফারুক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নার আশীর্বাদ পুষ্ট চেয়ারম্যানরা। এমনকি বরাদ্দের ৪০% টাকা আগেই কেটে নিতেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কর্তা বাবুরা বলেও অভিযোগ রয়েছে। শুধু উন্নয়ন সহায়তার বরাদ্দ না, টিআর, কাবিখা ও বিশেষ বরাদ্দ থেকেও কাটা হত ৪০% করে টাকা বলেও সূত্র নিশ্চিত করেন।মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

উন্নয়ন সহায়তা বরাদ্দ বিষয় ও কাজ নিয়ে বাঁধাইড় ও পাচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান কোন মন্তব্য করেননি।

কিন্তু তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবুর কাছে বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাজ করা হয়েছে। কবে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে কোন ঠিকাদার কাজ করেছে প্রশ্ন করা হলে মোটরসাইকেল যোগে সটকে পড়েন। তবে তার সচিব সাব জানিয়ে দেয় আমিও তেমন কিছুই জানিনা, কিন্তু বরাদ্দের কোন হুদিস নেই।

বিগত ২০১১ সাল থেকে চান্দুড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। ওই সময় থেকে অদ্যবদি কোন বরাদ্দের কাজ না করে লুটে খেয়েছেন তিনি। কারণ উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের তিনি তটস্থ করে রাখতেন। ইচ্ছমত লোপাট করেছেন তিনি।

সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খান বলেন, বরাদ্দ তো পেতাম না, যেগুলো পেতাম আওয়ামী লীগ পন্থী মেম্বারদের মাধ্যমে কাজ করতে হত। বরাদ্দের পুরো কাজ হয়েছে। কিন্তু দরপত্র ও ঠিকাদারের বিষয়ে কিছুই বলেন নি তিনি।

সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মিনহাজুল ইসলামকে বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি বলেন সবে যোগদান করেছি, ফাইল পত্র দেখে নিয়ম অনুযায়ী কাজ না হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।