বসতবাড়ীর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মুন্সীবাজার ইউনিয়নের পরানধর গ্রামে জোরপূর্বক বসতবাড়ীর জমি দখল করে ঘরনির্মান ও সীমানা বেড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মখলিছ মিয়াগংদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও দখলদাররা সালিশের সিন্ধান্ত মানছেন না। যে কারনে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানষিক ভাবে হয়রানি হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। উপরন্তু মহিলাদের ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের আইনীভাবে হেনন্তা করা হচ্ছে। এ নিয়ে আইনী সহায়তা পেতে ভুক্তভোগীদের পক্ষে মছব্বির মিয়া কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়ভাবে জানা যায়, উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের পরানধর গ্রামের পরানধর মৌজার জেএলনং ২৯, এসএ খতিয়ান নং ১২১, দাগ নং ১০০ ও ৪৭২, আরএস খতিয়ান নং ১১২ ও ৬৬, দাগ নং ৩৫৬ ও ৩৫৭ বাড়ীরকম ভূমিতে একই বাড়ীর মখলিছ মিয়াগংরা জোরপূর্বক প্রায় সাড়ে ৪ শতক জায়গায় পাকার ঘর ও সীমানা বেড়া নির্মান করেছেন। সীমানা নিয়ে চলমান বিরোধের কারনে স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্থাপন করা সীমানা খুটি মখলিছ মিয়ার নির্মিত ঘরের ভিতর দিয়ে প্রায় ৪ ফুট জায়গা মছব্বির মিয়ার অংশের। সালিশ বৈঠকে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সার্ভেয়ার এর উপস্থিতিতে নতুন করে সীমানা খুটি স্থাপন করা হলেও মখলিছ মিয়া ও তার অংশীজনরা এ সিদ্ধান্ত মানছেন না। দীর্ঘদিন ধরে জায়গার সীমানা নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ২০২০ সালে মছব্বির মিয়ার উপর হামলা করা হয়। হামলায় তিনি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
মছব্বির মিয়া ও তার ভাই মকবুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, মৌরসী সূত্রে আমরা জায়গার মালিক হলেও মখলিছ মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে সম্পূর্ন অন্যায় ভাবে আমাদের জায়গা দখলে রেখেছেন। তিনি সালিশ বৈঠকের কোন সিদ্ধান্ত মানছেন না। উল্টো মখলিছ মিয়া তার ঘরের মহিলাদের দিয়ে আইনী ভাবে আমাদের হয়রানি করার জন্য মামলা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মখলিছ মিয়া বলেন, মৌরসী সম্পত্তি নিয়ে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মমলা চলছে। তারা আদালতে মামলা রেখে জোরপূর্বক জায়গা দখল করতে গেলে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
কমলগঞ্জ থানার সহকারি উপ পরিদর্শক (এএসআই) সবুজ মিয়া বলেন, মখলিছগংদের দখলে থাকা জায়গার মধ্যে কিছু জায়গা মছব্বিরগংরা পাবে। কিন্তু মছব্বিরগংরা আদালতে থাকা মামলা প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় আপোষ করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু আদালতে মামলা চলমান তাই আদালতকে বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।