ঢাকা | ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪ - ২:৪৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

নওগাঁ-বদলগাছী আঞ্চলিক মহাসড়কটি যেন মরন ফাঁদে পরিণত

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Wednesday, December 23, 2020 - 8:27 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 96 বার

রহমতউল্লাহ আশিকুর জ্জামান নুর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : নওগাঁ-বদলগাছী আঞ্চলিক মহাসড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থা এ যেন এক মরণফাঁদ । নিমিষেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, পিচ উঠে সড়কটির অসংখ্য স্থানে ভাঙাচোরা, খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যা গাড়ি উল্টে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা ।

আঞ্চলিক মহাসড়কটি নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলার সংযোগস্থল যা দিয়ে প্রতিনিয়ত বালু, ইট, পাথর ও পণ্যবাহী ভারী ট্রাক চলাচল করায় সড়কটির অধিকাংশ স্থানই দেবে গেছে। এতে করে ছোট-বড় ধরণের দুর্ঘটনার পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে হাজার হাজার পথচারী। একাধিক জেলা ও কয়েকটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি দ্রুত আধুনিকমানের সড়কের মানে নতুন করে সংস্কার করার দাবী বৃহত্তর নওগাঁবাসীর। তবেই এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা আরো সচল হবে। বদলে যাবে এই অঞ্চলের মানুষদের জীবনমান সূত্রে

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় নওগাঁ থেকে বদলগাছী উপজেলা সদর পর্যন্ত এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির দৈর্ঘ্য ২০কিলোমিটার। ২০কিলোমিটারের পুরো সড়ক জুড়েই অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। রাস্তাটির বেশ কিছু স্থানে দেবে এবং পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পড়ে ভারী পণ্যবাহী ট্রাক প্রায়ই আটকে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও রাস্তায় বড় বড় ঢিবি তৈরি হয়েছে। সড়কের পাহাড়পুর বাজার, কীর্ত্তিপুর বাজার, হতে বদলগাছি সদর পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। যা নওগাঁ সদর হতে বদলগাছী সদরে পৌছাইতে সময় লাগতো ২০ থেকে ২৫মিনিট তাই এখন প্রায় এক ঘন্টা ৪৫ মিনিট লেগে যায় । খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। নষ্ট হচ্ছে যানবাহন আর দীর্ঘ হচ্ছে ভোগান্তি।

রাস্তাটি সর্বশেষ ২০১৫ সালে সংস্কার ও প্রশস্তকরণ কাজ করা হয়। এরপর সড়কটিতে আর কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। নওগাঁ থেকে এই সড়ক দিয়েই জায়পুরহাট, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর জেলাসহ দেশের অন্যান্য জেলা এবং নওগাঁ জেলার পত্নীতলা, সাপাহার, মহাদেবপুর ও ধামইরহাট উপজেলাবাসীর চলাচলের একমাত্র প্রধান সড়ক এটি। এছাড়াও ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার বা (সোমপুর বিহার) যাবার এটিই একমাত্র প্রধান সড়ক। রাস্তাটি ২২টনের বেশি যান চলাচলের উপযোগী নয়, কিন্তু এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৩০থেকে ৪০টন ওজনের পণ্যবাহী যানবাহনও চলাচল করে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে ছোট-বড়সহ ৫থেকে ৭হাজার যানবাহন চলাচল করে।

 

তবে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় হেয়ারিং ও পিস দেওয়া হলেও রাস্তাটি পুরোপুরি সংস্করণ করা না হলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ,রাস্তাটির দুই পাশে ঢালু মাঝখানে উঁচু এর ফলে দেখা যাচ্ছে ভারী যানবাহন ও ছোট যানবাহন গুলি নিমিষেই উল্টে যেতে পারে এতে করে প্রাণহানী ঘঠতে পারে, ভুক্তভোগী পথচারী সকলে জানাই রাস্তাটি সংস্করণ করলে বিভিন্ন দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাবে ।