ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৬:৩৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

নাটোরের আলোচিত সাধন হত্যা মামলায় রক্ষা পেতে আসামীদের প্রশাসনকে দোষারোপ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Sunday, December 27, 2020 - 3:18 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 156 বার

লিয়াকত রাজশাহী বুর‍্যোঃ নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা এলাকার আলোচিত সেই স্বাধন হত্যা মামলার আসামীরা দীর্ঘদিন থেকে নিজেদের অাড়াল করে রাখলেও বর্তমানে মামলা থেকে বাঁচাতে তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তাকে দোষারোপ করাসহ নানা কারসাজি করছে।

২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বরের ভোরে রাজশাহী জেলাধীন বাঘা থানার লোকমানপুর ও আড়ানী রেল ষ্টেশনের মধ্যে ঝিনা মৌজার রেল লাইনের উত্তর পাশ থেকে বিশিষ্ট্য জুয়েলার্স ব্যবসায়ী স্বাধন কর্মকারের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পরে স্বাধন কর্মকারের বড়ভাই শ্রী সন্তোস কুমার কর্মকার বাদী হয়ে পাবনার ঈশ্বর্দী রেলওয়ে থানার হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং -০১, তাং- ০১/১২/২০১৫ খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

মামলার এজাহারের বিবরণ অনুযায়ী অনুসন্ধানে নামে পুলিশ প্রশাসনের একাধিক সংস্থা।
চৌহদ্দি নির্নয় করেন বাদী ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাহাদের জবানবন্দী, কাঃ বিঃ ১৬১ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করেন। তদন্ত কালে মামলাটি সিআইডি সিডিউল ভুক্ত হওয়ায় পুলিশ হেডকোয়াটার্সের অনুমোদন সাপেক্ষে সিআইডি রাজশাহী বিভাগ, রাজশাহী স্মারক নং-সিএ/রাজশাহী/পুঃহেঃ কোঃ/৭-১৬/৮৫ তারিখঃ ৭/০৪/২০১৬খ্রিঃ মোতাবেক তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক জনাব খন্দকার ফেরদৌস আহম্মেদ সিআইডি জেলা পাবনার নিকট অর্পন করেন। মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় ১৮ সালের ১২ জুন মামলাটির তদন্তভার আসে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ( পিবিআই) এর হাতে। পিবিআই এর চক্ষুস অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ মামলাটির তদন্তভার দেন উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমানের উপর। তদন্তকারী এই পুলিশ কর্মকর্তা নিবিড় পর্যবেক্ষন ও অনুসন্ধানে সন্দেহজনক ৫ জনকে গ্রেফতার করে এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জবানবন্দী অনুযায়ী ভিক্টিম স্বাধন কর্মকারের হত্যার স্বীকারুক্তিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করেন। জবানবন্দী দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু করতে না করতে আসামীগন বাঁচার তাগিতে অসৎ পথ ও নানা কৌশল অবলম্বন শুরু করেন। এমন কি আসামীরা পিবিআই এর উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমানের উপর মিথ্যে অপবাদ দিতে শুরু করেন। এছাড়াও আসামীরা এলাকার সাধারণ মানুষকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উছেঠে।
এবিষয়ে পিবিআই এর উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেদিন থেকে পুলিশে যোগদান করেছি সেদিন থেকে শপথ করেছি দেশ ও দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করবো। তাই আমার নিকট মিথ্যার কোন জায়গা নাই আর অপরাধীর কোন ছাড় নাই। তবে এই মামলার বিষয়ে গভীর অনুন্ধান ও সোর্সের তথ্য অনুযায়ী ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় মোট ১৭ জনকে আসামী করা হয়েছে। বাঁকী আসামীরা আইনের আওতায় আসবে ইনশাআল্লাহ।

আলোচিত এই মামলার বিষয়ে পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব আবুল কালাম আজাদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে জটিল ও ক্লুলেস মামলাগুলো পিবিআই করে। পিবিআই পুলিশ কাউকে অযথা হয়রানি করেনা। মামলার ধরন দেখে আমি যোগ্য অফিসারের হাতে মামলা দেয়। আমি জানি আমার আফিসারগন সৎ ও যোগ্য তাই আমার অফিসারের উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে লাভ হবেনা। এতে করে মামলার মোড় ঘোরানো যাবেনা। খুব অচিরেই এই মামলার বাঁকী আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।