কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান আতিক শুভঙ্করের ফাঁকিদিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ সরকারের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (৪০ দিনের কর্মসূচি)-এর টাকা লোপাট করে খাচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলা কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান । কর্মহীন মৌসুমে দুস্থ পরিবারের স্বল্প মেয়াদী কর্মসংস্থান এবং গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্ধেকের বেশি টাকা শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে লোপাট করছে দুষ্ট চক্র কর্মধা ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার লক্ষী রানী সহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ।
কর্মধা ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । এসব কর্মসূচিতে অতিদরিদ্রদের দিয়ে কাজ করানোর কথা থাকলেও এবং স্থানীয় কোনো ঠিকাদার বা দরিদ্রদেরকে কাজ না দিয়ে কুলাউড়া উপজেলার সরকারি নির্ধারিত পরিচ্ছন্নতা মহিলা কর্মিদের দিয়ে নিম্নমানের কাজ করানো হয়েছে ।
কর্মাধা ইউনিয়নের ভান্ডারি গাও থলী হইতে চিংলেনের বাড়ির পাশ দিয়ে ভান্ডারি গাও মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ৭ লক্ষ টার ৪০ দিনের কর্মসূচি । এই ৪০ দিনের কর্মসূচির প্রকল্পের রাস্তার পাশে জমি থেকে মাটি রাস্তার ওপর ৫ ফুট ভরাটের কথা থাকলেও হয়নি ১ ফুটেরও বেশি । এ ৭ লক্ষ টাকার প্রকল্পে কাজ করেছেন কুলাউড়া উপজেলার সরকারি নির্ধারিত পাকা রাস্তার পরিচ্ছন্নতা কর্মি ১০ জন মহিলা । গংগা নামের একজন মহিলা কর্মি আমাদের প্রতিনিধির কাছে জানান , এ ভাবে সরকারি কাবিকা বা ৪০ দিনের কর্মসূচিতে প্রায় কাজ করেছেন , কিন্তু কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাদের ১০ জনকে কোনো টাকা না দিয়ে উলটা তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে দস্তগত নিয়ে এসব প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেন প্রজেক্টের চেয়ারম্যান লক্ষী রানী ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক ।
এ ৭ লক্ষ টাকার ৪০ দিনের কর্মসূচির বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলার পিআইও শিমুল আলী বলেন এ প্রকল্পে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ অতিদরিদ্রদের দিয়ে কাজ করানোর কথা ,এখানে উপজেলা নির্ধারিত সরকারি পরিচ্ছন্নতা মহিলা কর্মিদের দিয়ে এ কাজ করানর কথা নয় । তবে আমরা এ বিষয়ে খতিয়ে দেখব ।
কুলাউড়া উপজেলার পাকা রাস্তা পরিচ্ছন্নতা মহিলা কর্মিরা কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারন্যানের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবেদকের কাছে বলেন, এসব সরকারি কাবিকা বা ৪০ দিনের কর্মসূচি ও বিভিন্ন সরকারি প্রজেক্টে চেয়ারম্যান তাদেরকে এ কাজে লাগান ।
এ বিষয়ে কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিকের মটোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায় । এদিকে মহিলা মেম্বার লক্ষীরানীর সাথে ফোনে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন সব চেয়ারম্যান জানেন ।