ঢাকা | জানুয়ারী ১২, ২০২৫ - ১:৪৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে ভিড়ল প্রথম জাহাজ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Tuesday, December 29, 2020 - 11:34 am
  • পঠিত হয়েছে: 226 বার

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথমবারের মতো জাহাজ ভিড়েছে দেশের প্রথম ‘গভীর সমুদ্রবন্দর’ মাতারবাড়ীতে। বন্দরে নোঙর করা মাদার ভেসেলটির নাম ভেনাস ট্রায়াম্প। পানামার পতাকাবাহী জাহাজটির ড্রাফট সাড়ে পাঁচ মিটার।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা জাহাজটি প্রথমবারের মতো ‘গভীর সমুদ্রবন্দর’ এলাকায় মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মিত জেটিতে প্রবেশ করেছে। প্রায় আড়াই ঘন্টা আগে গভীর সাগরে জাহাজটি আসার পর চট্টগ্রাম বন্দরের পাইলটরাই সেটিকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মিত জেটিতে নিয়ে আসেন।

বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলাম।

যদিও ২০২৫ সালের শেষ দিকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চালুর সময়সীমা নির্ধারিত আছে। তবে এর আগেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণসামগ্রী আনা-নেওয়ার মধ্য দিয়ে আজ চালু হলো সমুদ্রবন্দরের চ্যানেলটি।

ভেনাস ট্রায়াম্প’ গত ২২ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পেলাভুবন সিলেগন বন্দর থেকে মাতারবাড়ীর কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ নিয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। জাহাজটি ২০০৯ সালে নির্মিত একটি জেনারেল কার্গো শিপ। এটি ১২০ মিটার লম্বা ও ৯ হাজার ৬৮০ টন ওজন ক্ষমতাসম্পন্ন।

মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে মোট ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ঋণ দিচ্ছে জাপান। বাকি অর্থের মধ্যে সরকার দিচ্ছে দুই হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে দুই হাজার ২১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক এবং চট্টগ্রাম বন্দর সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের অংশ হিসেবেই মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরকে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে উপকূলের উত্তরে মীরসরাই থেকে দক্ষিণে মহেশখালি-কুতুবদিয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের সীমানা বৃদ্ধি করেছি। এ জন্য পোর্ট অব কল ধরা হবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। জাহাজ ভেড়া থেকে মাসুল আদায় পর্যন্ত সব কিছুই করবে চট্টগ্রাম বন্দর।’

তিনি বলেন, ‘মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে ৩০০ ও ৪৬০ মিটার দীর্ঘ দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। আট থেকে ১০ হাজার কনটেইনার পরিবহনের উপযোগী জাহাজ ভেড়ানো যাবে এই বন্দরে। ফলে বাংলাদেশ ছাড়াও আমাদের প্রতিবেশী যেসব দেশের বন্দর সুবিধা নেই তারাও মাতারবাড়ী বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।

এছাড়া কলকাতা ও সেভেন সিস্টার খ্যাত ভারতের রাজ্যগুলো আমাদের বন্দর ব্যবহারে দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ দেখাচ্ছে।’

Proudly Designed by: Softs Cloud