কালিয়াকৈরে দূর দুরান্ত থেকে উড়ে আসছে অতিথি পাখি
শাহ্আলম সরকার কালিয়াকৈর প্রতিনিধি: শীত আগমনের সাথে সাথে কালিয়াকৈরের বিল-ঝিলে দেখা মিলছে অতিথি পাখির। এসব পাখির কলকাকলি ও সুন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই ভিড় করছে দর্শনারর্থীরা।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উড়ে আসা অতিথি পাখির দেখা মিলছে কালিয়াকৈর উপজেলার বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, বেনুপুর, বগাবাড়ী, মেদী আশুলাইসহ উপজলার বিভিন্ন জলাশয়ে সরালী, গার্গেনী, নীলকন্ঠসহ নানা প্রজাতীর অতিথি পাখির দেখা যায়। হাজারো পাখি ঝাকে ঝাকে এক সাথে দল বেধে পাড়ি দেয় তেপান্তর। সকালে সূর্য উদয় হওয়া থেকে শুরু করে গুধুলী বিকেল পর্যন্ত পাখির কল-কাকলিতে মূখর থাকে এসব বিল-ঝিল লেগ। তবে শিকারীর ভয়ে এখন আর অতিথি পাখি তেমন একটা দেখা যায় না। ফলে জীববৈচিত্রের সুন্দর্য অপূর্ণতা প্রকাশ পায়। করোনার ভাইরাসের কারনে ঘরকোণে থাকতে থাকতে প্রকৃতির খোলা আবহাওয়া তেমন একটা উপভোগ করতে পারা যায় না। তবে সকালে ও বিকেলে বাড়ীর আঙ্গীনায় ডোবা, নালায় এসব অতিথি পাখির সুন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই সপরিবারে ভিড় করছে নানা বয়সীর মানুষ।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশে সারা বছর অতিথি পাখিসহ নানা প্রজাতির পাখি আমরা দেখতে পেতাম। কিন্তু এখন কিছু শিকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত আইন বিধি লঙ্গন করে এসব পাখি শিকার করে বাহিরের দেশে বিক্রি করে দেয়। তাই এসব অতিথি পাখি আগের মতো দেখা যায় না। ফলে প্রাকৃতিক বৈচিত্রের সুন্দর্য বিলিন হওয়ার পথে। পাখি বসবাসের জন্য যে জলাশয় রয়েছে সেগুলো পানি শূন্যতার পাশাপাশি নদী-নালা,খাল-বিল মাটি দিয়ে বাধ দিয়ে পানি শূন্যতা করে ফেলেছে। এখন যদি বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত আইনে জলাশয় গুলো পূনরায় আগের মতো পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে যদি গড়ে তুলা যায়। তবেই জীববৈচিত্র আবার প্রাণ ফিরে পাবে এমটাই প্রত্যাশা করা যায়।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন জনান,পাখি আমাদের প্রাকৃতিক সুন্দর্য বাড়ায় যেহেতু আমরা করোনার সময় পার করছি। তার জন্য যেসব পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে সেসব স্থানে যেন সকলেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রাকৃতিক সুন্দর্য উপভোগ করেতে বলা হয়েছে। আর সারা বছর এসব অতিথি পাখির কলগানে বিল-ঝিল লেগ মূখর রাখতে বন্যপ্রাণী রক্ষায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।