প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন মোহাম্মদ শফি. আই .এফ রাব্বি
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হৃদয় ঃ-প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রবাসী মোহাম্মদ শফি আই.এফ.রাব্বি. সাইমুম।
তিনি ১৯৭০ সালের ২৯ ডিসেম্বর ফরিদপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবা মৃত ইবনে হায়দার মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী। যিনি সর্বপ্রথম বাঙালি হিসেবে ১৯৬৪ সালে পিআইএ পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সর্বপ্রথম বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স এর সেলস অফ ম্যানেজার অফিসার হিসেবে যোগদান করেন এবং বিশ্বের বহু দেশে তার চাকরি জীবন অতিবাহিত করেন।
আর মাতা মৃত বুলবুলি সুলতানা পাবনার সুনামধন্য খন্দকার পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। দেশের বাড়ি ফরিদপুরে গ্রহ লক্ষ্মীপুর এ অবস্থিত।
প্রবাসী ব্যবসায়ী সাইমুমের দুটি সন্তান বড় ছেলে মোহাম্মদ শাবিব বিন শফি যে কিনা গ্রেট ৯ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংলিশ মিডিয়াম রিয়াদ এ অধ্যায়নরত আছেন, আর মেয়ে সাজা বিনতে শফি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংলিশ মিডিয়াম রিয়াদ এর গ্রেট ৪ এ অধ্যায়নরত আছেন।
স্ত্রী তানজিনা সুলতানা রাজবাড়ীর সুনাম ধন্য আওয়ামী লীগ পরিবারের জন্ম। রিয়াদ ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের একজন ডিরেক্টর।
তিনি ১৯৯৪ সালের ৬ আগস্ট সৌদি আরব প্রবাস জীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ২৭ বছর সপরিবারে সৌদি আরবে রিয়াদে বসবাস করছেন।
প্রবাসে কর্ম জীবন শুরু ১৯৯৪ সালের ৬ আগস্ট। শুরুতে বছর খানেক অনেক চড়াই উতরাই পার করে অবশেষে একটি কনস্ট্রাকশন এন্ড কন্টাক্টিং প্রতিষ্ঠান শুরু করার সৌভাগ্য হয়। এটার মাধ্যমেই পথ চলা শুরু।
এরপর থেকে আর পিছে ঘুরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তিনি হেভি স্টিল ফেব্রিকেশন, ওয়েল্ডিং এবং erection কম্পানি পরিচালনা করছেন ।
সৌদি আরবের জুবাইল, দাম্মাম, জেদ্দা ও রিয়াদ শহরের সকল স্থানেই সুনামের সঙ্গে কাজ পরিচালনা করছেন।
২০১৯ সালে বেস্ট স্টিল ফাব্রিকেশন কোম্পানি হিসেবে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় কোম্পানি আরামকো ও ইন্টারন্যাশনাল বিল্ডিং সিস্টেম কোম্পানির অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
একই সঙ্গে তিনি রিয়াদ বাংলাদেশী ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের এক্সিকিউটিভ অফ এডমিন এবং ঢাকা মেডিকেলের ইসি সদস্য হিসাবে কাজ করছেন ।
বিগত ২৫ বছর যাবত তার কোম্পানিতে আনুমানিক ৩০০-৪০০ শ্রমিক কাজ করছে।
যাদের মধ্যে ৮০ ভাগ বাংলাদেশি শ্রমিক এবং বাকি ২০ ভাগ শ্রমিক বিভিন্ন দেশের রয়েছে।
দীর্ঘ ২৫ বছর বাংলাদেশী শ্রমিকরা প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে।
প্রবাসী শ্রমিকদের প্রেরন করা রেমিট্যান্স সরাসরি বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নয়নের ভূমিকায় দৃঢ় অবস্থান রাখছে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কৃত বলতে আমি বাঙালি এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতি হৃদয় লালন করি।
আমি একজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের মুজিবসেনা।
ছাত্রজীবনে সরাসরি ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। বর্তমানে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা আমাদের সুনামধন্য রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ওয়াজেদ কে সরাসরি শতভাগ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। এবং আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় ও উন্নয়নের ধারা আমার সম্পূর্ণ সমর্থন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। পারিবারিক ও বৈবাহিক সূত্রে আমার রক্তে আওয়ামী লীগ এর বিশ্বাস লালন করি। এক অর্থে আওয়ামীলীগ আমার রক্তে মিশে আছে।
জীবন খুব ছোট তাই এই ছোট জীবনে যত বেশি ভালো কাজ করে যেতে পারবো ততটাই আমার আখেরাতে কাজে আসবে ।
আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বাংলাদেশে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার চিন্তাভাবনা আছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশের দুঃস্থ দরিদ্র ও অসহায় এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত লাখো মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে পারি সেই স্বপ্ন নিয়ে প্রবাসের পাশাপাশি দেশের মাটিতেও কাজ করছি।
রিয়াদে ঢাকা মেডিকেল এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দরিদ্র ও অসহায় প্রবাসীদের বিনামূল্যে বিনা স্বার্থে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমার মনোবাসনা পূর্ণ হয়। দেশ ও জাতির জন্য কিছু করতে পারি।
জি মিডিয়া নিয়ে আমার অনেক কিছুই বলার আছে। প্রথমেই বানিজ্য প্রতিদিন পত্রিকার সৌদি আরব প্রতিনিধি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হৃদয় সহ বানিজ্য প্রতিদিন পত্রিকা পরিবারের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই। এই পত্রিকায় প্রবাসীদের সুখ দুঃখ গুলি তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়ার জন্য।
আর এটা সত্য মিডিয়া ব্যতীত কোন সত্য উন্মোচন করা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র মিডিয়ায় পারে সৎ সুন্দর এবং একটি পরিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে তাই আমি সকল মিডিয়া জগতের প্রিয় ভাইদের বলবো সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আপনারা কাজ করে যান এবং দেশের উন্নতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করুন। আপনাদের প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধা অবিচল আপনারা কলম সৈনিক।
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ও ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের মত এগিয়ে নিতে ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে যেখানে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু আয় ২০৬৫ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রবাসী বাংলাদেশীদের যার যার অবস্থান থেকে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগের আহবান জানান।