ফরিদপুর নব্যগঠিত জেলা ছাত্রলীগে ঠাই হলো দূর্নীতিবাজ ঈভানের
ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা ও দূর্নীতির বরপুত্র বরকত রুবেল এর সাথে ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার অন্যতম আসামী হওয়া সত্বেও, কিভাবে আওয়ামীলীগের গুরুত্বপুর্ন পদ দখল করে ফরিদপুর সদর উপজেলার ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাঈদুর রহমান বাবলু এবং তার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ঈভান রহমান। বিষয়টি নিয়ে ফরিদপুরের সচেতন মহলের মনে এক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ফরিদপুরে পুর্বে যে দূর্নীতি ও নানা বিধও অনিয়ম হয়েছে, তার সব যায়গাতেই এই দুই বাপ ছেলের বিশিষ্ট অবদান রয়েছে। তৎকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের কিছু শির্ষ নেতাদের আস্থাভাজন হয়ে সাঈদুর রহমান বাবলু ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং তার ছেলে ঈভান রহমান জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেয়। পরে ফরিদপুরের দূর্নতির বরপুত্র বরকত রুবেল এর সাথে ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলা ও বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় যারা আসামী হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের পর বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট জবান বন্দিতে এই দুই পিতা পুত্রের নাম ফলাও ভাবে প্রকাশ পায়।
কিন্তু কেন পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না, এ নিয়ে জনমনে এক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাঈদুর রহমান বাবলুর নানা বিধও অনিয়মের কারনে সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করে জেলা আওয়ামীলীগ। অভিযোগে জানা যায়, ফরিদপুরে যে কথিত হেলমেট ও হাতুরী বাহীনি ছিল, তাদের অন্যতম সহযোগি হিসাবে কাজ করত তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ঈভান ও তার পিতা বাবলু। নিজেদের ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেদের গড়া ক্যাডার বাহীনি মারফত সাধারন জনগনের বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করেছে দুই বাপ ছেলে।
বর্তমানে বিভিন্ন দূর্নীতির অন্যতম মামলার আসামী হওয়া সত্বেও সম্প্রতি ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের যে নব্য কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে, তার মধ্যে এই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ঈভানকে যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও তার পিতা সাঈদুর রহমান বাবলুকে ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে।
ফরিদপুরে চলমান শুদ্ধি অভিযানে অনেক সন্ত্রাসীরা পুলিশের জালে ধরা পরলেও আওয়ামীগের লেভাস লাগানো এই ক্ষমতাধর দুই বাপ ছেলে আবারো দুটি গুরুত্ব পুর্ন পদ বাগিয়ে নিয়েছে বলে সাধারন জনগণ মনে করছে। ফরিদপুরের দূর্নতির বরপুত্র বরকত রুবেল এর বিভিন্ন অনিয়মের অজানা তথ্য রয়েছে তাদের এই সহযোগী বাবলু ও ঈভানের কাছে। এমনকি বরকত রুবেল এর জমানো কিছু টাকা এই দুই সহযোগীদের কাছে রয়েছে বলে অনেকে মনে করছে। ফরিদপুর তথা দেশ কে কলুষিত করার উদ্দেশ্যে নিজস্ব বাহীনি তৈরি করে সাধারন মানুষকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে নানা ধরনের অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে আসা এই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বাবলু ও ঈভান কিভাবে আওয়ামীলীগের গুরুত্বপুর্ন পদ বাগিয়ে নেয়, সে বিষয়ে সাধারন জনগনের মাঝে এক বিষ্ময়ের সৃস্টি হয়েছে। তাই দ্রুত এই দুর্ধষ সন্ত্রাসী ঈভান ও তার পিতা বাবলুর বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ গুলো তদন্ত পুর্বক নব্যগঠিত জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদ হতে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ফরিদপুরের সচেতন মহল।