“শেষ বিচারে গনতন্ত্র তথা জনগনের বিজয় অবধারিত”
সিকদার গিয়াসউদ্দিন : গনতন্ত্র ও গনতান্ত্রিক আচরনের বিকাশ পারস্পরিক সম্পর্কের সামগ্রিক উন্নয়নে যাদুকরী বলে ইতিমধ্যেই সর্বজনবিদিত।দলগত ও আদর্শগত বিভক্তি থাকলেও,সত্যিকারের টেকসই গনতন্ত্র রাষ্ট্রের সর্ব্বোচ্চ কল্যানে ব্যক্তি ও দলের উর্ধ্বে উঠে,জনগনের মতামতকে প্রাধান্য দেয়াকে কেন্দ্র করে,জনগনের স্বার্থে জনগনই সকল শক্তির উৎস বিবেচনায় নিয়ে,সকল বিভক্তি অতিক্রম করে শেষ বিচারে জনগনের বিজয়কে অনিবার্য করে তোলে।
গনতন্ত্র কখনো সমস্যামুক্ত ছিলোনা।কখনো কখনো ভঙ্গুরও বটে।ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী একনায়কসূলভ মানসিকতা,গনতন্ত্রের চাদরে ঢাকা অগনতান্ত্রিক কর্মকান্ড,অগনতান্ত্রিক শাসকগোষ্টির জনস্বার্থ বিরোধী কাজের খতিয়ান মাত্রাতিরিক্ত বলে সর্বত্র আওয়াজ পরিলক্ষিত।এমনকি গনতন্ত্রের পাদপীঠ খ্যাত আমেরিকার পতিত ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকান্ড ঘরে বাইরে নিন্দিত।ট্রাম্প প্রশাসনকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী একনায়কসূলভ শাসকদের অতিরিক্ত উত্থানও লক্ষনীয়।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের পতনে গনতন্ত্রের বিজয়ের বহি:প্রকাশ-বিশ্বব্যাপী জনগনের আনন্দ উল্লাস প্রকাশের বিষয়টি দেখার মতো।জো বাইডেন-কমলা হ্যারিস জু’টির বিজয় অবশেষে সকল কনস্পিরেসী ও বাঁধা অতিক্রম করে গনতন্ত্রের বিজয়কে বিশ্বময় জনগনের আকাঙ্কাকে সুনিশ্চিত করে।জো বাইডেন-কমলা হ্যারিস জু’টির বিজয় বিশ্বব্যাপী গনতন্ত্র ও গনতান্ত্রিক আন্দোলনের সৈনিকদের ইতিমধ্যেই অনুপ্রানিত ও আনন্দে উদ্বেলিত বলে বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া সহ সর্বত্র বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখার মতো। তবে বিশ্বময় একনায়কসূলভ শাসকদের জনগনের সামগ্রিক শক্তির যে কোন মুহুর্তে অগ্নিস্ফুরণের মতো বিকশিত হয় কিনা বা ঘটে যায় কিনা-সেজন্য শঙ্কার কথা বাতাসে ও বিভিন্ন লেখায় প্রতিভাত।
গনতান্ত্রিক অধিকারের মতো মধুর আর কোন প্রেসক্রিপশন নেই।
গনতন্ত্র অর্জনের জন্য ত্যাগের ইতিহাসও বেদনাদায়ক।শুধু তাই নয় গনতন্ত্র হাইজ্যাকের বিষয়টিও বড়ই করুন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও নয়মাসের রক্তাক্ত জনযুদ্ধের মধ্যেই তা খূঁজে পাওয়া যায়।তবে গনতন্ত্রের সামগ্রিক বিকাশে গনতান্ত্রিক আন্দোলনের বিজয়ে যুবক ও তরুন সমাজের উত্থান ব্যতিত অন্য কোন বিকল্প নেই।
শেষ বিচারে ও পরিনতিতে গনতন্ত্র তথা জনগনের বিজয় সুনিশ্চিত।আমেরিকার ৪৫’তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অগনতান্ত্রিক কর্মকান্ড অবশেষে ন্যাক্কারজনক পতন আর জো বাইডেন-কমলা হ্যারিসের বিজয় ও ক্ষমতা গ্রহন সর্বোপরি বিউটি অব আমেরিকান ডেমোক্রেসী থেকে অনেক কিছু জেনে নেয়ার বিষয়টি ভেবে দেখার মতো নয় কি?
লেখক: অন্যতম নির্বাহী,কানেক্ট বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল।পৃষ্টপোষক:বিশ্ব সংগীত কেন্দ্র।সাবেক সাধারণ সম্পাদক,কমিটি ফর ডেমোক্রেসী ইন বাংলাদেশ,নিউইয়র্ক,যুক্তরাষ্ট্র।সাবেক সদস্য সচিব,মুক্তিযুদ্ধ চেতনা পরিষদ,নিউইয়র্ক,যুক্তরাষ্ট্র।সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আহ্ববায়ক,কর্ণেল তাহের স্মৃতি সংসদ যুক্তরাষ্ট্র।প্রধান পৃষ্টপোষক ও প্রতিষ্ঠাতা,মনচুর আলী সিকদার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ,রামু,কক্সবাজার,বাংলাদেশ।
লাস ভেগাস,নেভাদা ,যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।