ছাতকে ৮কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ কিলোঃ রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ঃঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে খুরমা দক্ষিন ইউনিয়নের মনিজ্ঞাতি, মানিকগঞ্জ ভায়া পালপুর সড়কের সংস্কার কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূনীতির অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার স্থানীয়রা উপস্থিত হয়ে নির্মান কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছেন কর্মরত শ্রমিকদের।
স্থানীয় সুত্রে জানা য়ায়, জাতুয়া-পালপুর সড়কের কাজে ২য় প্যাকেজে মুনিরজ্ঞাতি, মানিকগঞ্জ ভায়া পালপুর সড়কে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪ কি: মি: ২ শতফুট রাস্তার মাটি কাটা কাজ, গাইড ওয়াল ও আরসিসি উন্নয়ন কাজ পায় হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ৩ নং ইট দিয়ে গাইড ওয়াল, ভিট মাটি দিয়ে গাইড ওয়ালে গাথুনি ও গাইড ওয়ালের নিচের ঢালাই কাজে ৩ ইঞ্চির পরিবর্তে ২ থেকে আড়াই ইঞ্চি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সড়কের দুই পাশে ৩ ফুট করে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও দেড় থেকে ২ ফুট করে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। অন্যদিকে মাটি ভরাট কাজে ¯েøাপ না থাকায় একটু বৃষ্টির পানিতে মাটি ধসে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার আশংষ্কা রয়েছে।
বালু, পাথর ও সিমেন্ট এর মিশ্রনে পুকুর চুরির অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রথম দিকে পাথর ৪ বালু ২ ও ১ বস্তা সিমেন্ট দিয়ে মসলা মিশ্রন করা হলেও এখন পাথর ৬ বালু ৪ ও ১ বস্তা সিমেন্ট দিয়ে মসলা মিশ্রন করে দায়সারা ভাবে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান।
এ বিষয়ে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বাসার মুন্না, আজিজুর রহমান আজিজ ও ওয়াহিদুল হক বলেন, গ্রামের আব্দুল কাদির ও উমর আলীর বাড়ির সামনসহ একাধিক স্থানে নির্মান কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাঁটল ধরেছে। এ ছাড়াও চলমান ঢালাই কাজ শেষ না হতেই ফাঁটল ধরে ঢালাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ কাজে পুকুর চুরি চলছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজ বন্ধ করে দিতে বলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে ড্রিম ইঞ্জিনিয়ারিয়ারিং সাইট ম্যানাজার পরিচয়ে আতিকুল ইসলাম প্রথমেই এ প্রতিবেদকের ক্যামেরা বন্ধ করে কথা বলার জন্য হুমকি প্রদান করেন। একপর্যায়ে ক্যামেরা কেঁড়ে নেওয়ার জন্য তিনি এগিয়ে আসেন। কিছুক্ষন পর তার মুঠোফোন এগিয়ে দিয়ে আব্দুল খালিক নামে স্থানীয় প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল খালিক নাম উল্লেখ করে কথা বলার জন্য বলেন। এ প্রতিবেদকের মুঠোফোনে কল দেওয়ার কথা বলায় ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের পক্ষের লোকজন চরম উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
গড়কের অপর প্রান্তে হাসান এন্টার প্রাইজের পক্ষে সাইট ম্যানজার পরিচয়ে নাম উল্লেখ না করে বলেন,আমরা নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি। স্থানীয় লোকজন কাজ তদারকি করছেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিন খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির বলেন, পুকুর চুরির মত ঘটনা ঘটছে। কাজ না করার জন্য বলেছি। আমরা প্রয়োজনে নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি সুনামগঞ্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করবো।
এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল মুনসুর মিয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবার সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। সড়কের কাজ সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে।