নিয়ামতপুরে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাঃ সম্পদকের সাথে হাসপাতালের ডাক্তারের অসদাচরণ
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের উপজেলা প্রতিনিধি জনি আহমেদের সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মুক্তি অসদাচরণ করেন। শুধু অসদাচরণই করেন নাই এক পর্যায়ে মারমুখী হয়ে তেড়ে আসেন। ঘটনাটি ঘটে ১০ এপ্রিল সোমবার বেলা ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির বিভাগের চেম্বারে। এ বিষয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জনি আহমেদ বাদী হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১০ এপ্রিল সোমবার বেলা ১০টার সময় জনি আহমেদ এক বৃদ্ধা মহিলাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের কর্তব্যরত সহকারী সার্জন ফারহানা আফরোজ প্রীতির নিকট বহির বিভাগের চেম্বারে যান। সহকারী সার্জন ফারহানা আফরোজ প্রীতির সাথে পরামর্শকালে ঐখানে অবস্থান রত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মুক্তি জনি আহমেদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং এক পর্যায়ে পায়ের জুতা খুলে মারমুখী হয়ে জোরপূর্বক জরুরী বিভাগ থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী জনি আহমেদ বলেন, মুক্তি এবং তার স্বামী প্রায় এক যুগ থেকে এখানে চাকুরী করে। প্রভাব খাটিয়ে নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করেই চলে। বিভিন্ন সময় রোগী ও রোগীদের স্বজনদের সাথে খারাপ আচারণ করেন। নিজের ডিউটি বাদ দিয়ে বাইরে রোগী দেখেন। জরুরী বিভাগে বসেই সে সময়ে অসময়ে বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন রোগী দেখা বাদ দিয়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মাহবুবুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, ভিডিও পেয়েছি ভিডিও দেখার সময় হয়নি। ভিডিও দেখে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মুক্তি বলেন, জনি সাহেব সিরিয়াল ভেঙ্গে আমার চেম্বারে প্রবেশ করায় আমি তাকে শুধু বলেছি কেন সে সিরিয়াল ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করলো। একথা বলায় সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আমাকে সে ভিডিও করতে থাকে তখন আমি রাগান্বিত হয়ে যায়। সে সময় সে নিজেই ঘর থেকে বের হয়ে যায়।