আশা এনজিও কর্মীদের প্রহারে স্বামী-স্ত্রী আহত!
সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী : রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দা উপজেলায় কিস্তির টাকা না দিতে না পারায় সদস্য রোজিনা বেগম ও তার স্বামী আজিজার ইসলামকে প্রহারের অভিযোগ উঠেছে ‘আশা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১২ জুন সোমবার ভুক্তভোগী রোজিনা বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেছেন। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আশা সমিতির সাধারণ সদস্যরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমিতির একাধিক সদস্য বলেন, তারা সদস্য প্রহারের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এর ব্যতক্রম হলে তারা কেউ কিস্তি-সঞ্চয় দিবেন না।
ভুক্তভোগী রোজিনা জানান, চলতি বছর ‘আশা’ এনজিওর মান্দা উপজেলার সতীহাট শাখা থেকে তিনি ৮০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। কিস্তির টাকা নিয়মিত পরিশোধ করে আসছে।কিন্তু সমস্যার কারণে গত ৭জুন বুধবার নির্ধারিত দিনে তিনি সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন রাতেই ‘আশার’ শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান হোসেনের নেতৃত্বে ৬-৭ জন ব্যক্তি রোজিনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, শ্লীলতাহানি ও প্রহার করে। এতে রোজিনা ও তার স্বামী আজিজার ইসলাম আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. বিজয় কুমার রায় তাদের হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এনজিওর মান্দা সতীহাট শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান বলেন, “সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা দিতে না পারলে রাতে তাদের বাসায় যাওয়া হয়। ওই সময় তারা আমাদের ওপড় চড়াও হলে নিজেদের মারধরেই তারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
তিনি বলেন, এরা ঋণের টাকা না দেবার জন্য এসব করছে। এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, কিস্তির টাকা সংগ্রহ করার জন্য কোনো এনজিওর কারো বাসা-বাড়িতে যাওয়ার নিয়ম নাই। এছাড়া কিস্তি না পেয়ে গ্রাহককে মারধর করার বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#