ঢাকা | ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ - ১:২৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

শ্যামনগরে পরিবার পরিকল্পনা ঔষধ সামগ্রী পাচার

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Thursday, August 10, 2023 - 8:09 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 40 বার

আল-হুদা মালী শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের পিয়ন খাঁন আহসান ইবনে সালাম ওরফে সুমনের বিরুদ্ধে অফিসের ঔষধ সামগ্রী পাচারের অভিযোগ উঠেছে। বহিরাগতদের সাথে আতাঁত করে তিনি পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের জম্ম নিয়ন্ত্রণ ও ঔষধ সামগ্রী পাচার করছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ই আগষ্ট) বেলা ১২টার সময় দুটি ব্যাগ ভরে ঔষধ নিয়ে পালানোর সময় দুই যুবক কে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। এসময় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত হলে, তারা ক্যামেরায় ভিডিও চিত্র ধারনের সুযোগে ঔষধ ভর্তি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় তারা।

উৎপল কুমার মন্ডল ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক সভা চলছিল আজ। সেই সুযোগে অফিসের পিয়ন খাঁন আহসান ইবনে সালাম স্টোর রুমের তদারকির নির্দেশনা দেন। এদিকে দোতলার সভা কক্ষে আলোচনা শুরু করেন। অন্য কর্মীরা ব্যস্ত থাকার সুযোগে খাঁন আহসান রাস্তায় দুই জনকে অপেক্ষা করতে বলেন। সেই যুবকদের নিকট থেকে দুটি ব্যাগ নিয়ে এসে স্টোর রুমে প্রবেশ করেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যাগ দুটি ভর্তি করে নিয়ে বাইরে এসে গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকা যুবকদের হাতে তা উঠিয়ে দেন তিনি। এসময় ঘটনা বুঝতে পেরে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের খবর দিলে তারা যেয়ে ভিডিও চিত্র ধারণের সুযোগে ব্যাগ ফেলে দুই যুবক পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা বলেন, খাঁন আহসান ইবনে সালাম দীর্ঘ দশ বছরের বেশী সময় ধরে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার র্কাযালয়ে চাকুরীরত। অফিসের আস্থাভাজন হওয়ার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে স্টোর রুম রক্ষনাবেক্ষনের সুযোগে সে ঔষধ সহ পণ্যসামগ্রী বাইরে পাচার করেন। তাদের দাবি সম্প্রতি সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি’র অভিযানে আটক জম্ম নিয়ন্ত্রণ উপকরণ সামগ্রী পাচারের সাথে খাঁন আহসান ইবনে সালামসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা জড়িত থাকতে পারে।

এই অভিযোগে অস্বীকার করেন খাঁন আহসান ইবনে সালাম তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার সাথে আমি জড়িত না। ভিডিও চিত্রে তার নেয়া ব্যাগ নিয়ে যুবকদের দৌড়ে পালানোর চেষ্টার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, ঔষধ দেয়ার নির্ধরিত দিন থাকায় একটু তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ শাকির হোসেন জানান, তিনি মাসিক সভা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সাংবাদিকরা ভিডিও ধারণ না করে তাদের কে আটক করে রাখা উচিত ছিল। তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশ দিয়ে একটা ব্যবস্থা নেয়া যেতো। এবং এ বিষয়ে সত্য প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।