ঢাকা | ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪ - ৫:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

বিশ্বনাথে পৃর্ব বিরোধের জের ধরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবক নিহত

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Wednesday, August 16, 2023 - 10:39 am
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 43 বার

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে পৃর্ব বিরোধের জের ধরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রশিদ আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা দক্ষিণ মাঝপাড়া গ্রামের দিলদার আলীর পুত্র।

জানা গেছে, রশিদ আলী ও তার চাচা ছাদিক আলীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে ভুমি ও বাড়িতে থাকা একটি পেয়ারা গাছ নিয়ে বিরুধ চলছিল আসছে। এ নিয়ে অনেক বার শালিশ বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু বিরুধ নিস্পত্তি হয়নি।

সেই আলোকে (১৪ আগস্ট) সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের চাচা ছাদিক আলীর পুত্র জয়রাজ ও তার দুই মেয়ে পেয়ারা গাছ তেকে পেয়ারা পাড়েন। এরই জেরে ছাদিক আলীর স্ত্রী লিলা বেগম ও ছেলে জয়রাজদের মধ্যে রাশিদ আলীদের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে রাশিদ আলী রাগাম্ভিত হয়ে এ বাড়িতে আর থাকবেনা বলে তার বসত ঘরের দরজা-জানালা ও টিনের বেড়া ভাঙ্গা শুরু করেন।

এর মধ্যে হঠাৎ করে তিনি মৃদ্যু চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মুখে রক্ত আসতে দেখা যায়। তাৎক্ষনিক রাশিদ আলীকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। রাশিদ আলীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় ভাবে জানা গেছে, তার নিজ বাড়িতে ঝগড়া ঝাড়ির এক পর্যায়ে রাশিদ আলী নিজ ঘরের টিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বা স্ট্রোক হয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পুলিশের এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, রাশিদ আলী ও ছাদিক আলীর মধ্যে পেয়ারা গাছ ও ভুমি সংক্রান্ত বিরুধ আছে। রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে, তবে, কোন সংঘর্ষ হয়নি। প্রাথমকি ধারনা করা হচ্ছে রাশিদ আলী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বা স্ট্রোক হয়ে মারা গেছেন।

এ বিষয়ে কথা হলে থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যু কারণ সঠিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। বাদির পক্ষের কোনো লোক এসে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেন নি।

রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

আজ বুধবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় বাদির পক্ষের কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।