ঢাকা | ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ - ১২:৩২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Thursday, August 24, 2023 - 12:48 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 51 বার

নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের সরকারি টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।এমনকি এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদে সরকারি প্রকল্প দিবে বলে অগ্রিম ঘুস নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়,গত ২০২১সালে (বিএনপি সমর্থিত) শফিকুল ইসলাম নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহনের পর সরকারি টাকা হরিলুট,প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ১০কেজি করে চাল দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করে ভুয়া টিপ সহি দিয়ে চাল আত্মসাৎ করা সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে জানা যায়,২০২২-২৩অর্থ বছরে পশ্চিম লক্ষনপুর গ্রামের গোরস্থানে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ ও মাটি ভরাট কাজে ৫লক্ষ ৭১হাজার টাকা (কাবিটা) বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখানে ৭০থেকে ৮০ হাজার টাকার নামমাত্র কাজ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে গোরস্থানের সভাপতি শামিম হোসেন জানান। সমাজ সেবক তরিকুল ইসলাম(সুইডেন হাজি) বলেন,গোরস্থানের বাউন্ডারি ওয়াল আমরা গোরস্থানের গাছ বিক্রির টাকায় নির্মাণ করেছি আর মাটি ভরাটের কিছু কাজ ৪০ দিনের সরকারি কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে শফিকুল চেয়ারম্যান করেছে।উপজেলার মোহাম্মদ পুর জোগ্যশাইল জামে মসজিদে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মসজিদের উন্নয়নে ২ লক্ষ টাকা(টিআর) বরাদ্ধ দেওয়া হয়। সেখানেও চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম পুরো টাকার কাজ না করেই আত্মসাৎ করেন। মসজিদের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন,আমাদের মসজিদে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।কিন্তু শফিকুল চেয়ারম্যান মসজিদের মেঝের কাজ বাবদ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে বাকি টাকা কি করেছে তা আমরা জানি না।একই অর্থবছরে সমাসপুর মুর্শিদা মাদ্রাসায় উন্নয়নে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। বরাদ্ধের টাকা মাদ্রাসার সুপার উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতে পারিনি। চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম নিজেই টাকা উত্তোলন করে মাদ্রাসায় একটি ডেক্সটপ,পিসি ও প্রিন্টার (সর্বমোট ৫০হাজার) টাকার সামগ্রি বুঝিয়ে দেন। বাকি ৬০ হাজার টাকা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম নিজেই আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের গনইর হুমায়নের বাড়ি হতে মাসুদের বাড়ির পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে বরাদ্ধ দেওয়া হলেও মাটি ভরাটের কাজ ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে করান।রাস্তা সংস্কারে মাটি ভরাটের টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেন বলে এলাকাবাসী জানান।

দিঘীপাড়া গোরস্থান, জামে মসজিদ ও ঈদগাহের সাবেক হিসাবরক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন,শফিকুল চেয়ারম্যান আমাদের জামে মসজিদে সরকারি বরাদ্ধ দিবে বলে আমাদের কাছে চার মাস আগে ৫০হাজার টাকা ঘুস নিয়েছে শফিকুল চেয়ারম্যান কিন্তু এখনও মসজিদে কোন বরাদ্ধ দেননি।এছাড়া গত ঊদ-উল আজহায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ১০ কেজি করে চাল দুস্থরা পাবার কথা থাকলেও খেসবা গ্রামের অনেক কার্ডধারী চাল না পাওয়ার কথা জানান প্রতিবেদক কে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে উপজেলা আ.লীগের এক নেতা জানান,বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান বলে কথা,তারাই তো হরিলুট করবে! সরকারি বরাদ্ধ সঠিক ভাবে ব্যায় না করে উক্ত টাকা সরকার পতন আন্দোলন ব্যায় করছে কিনা তা প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে ক্ষতিয়ে দেখা দরকার।

এবিষয়ে নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সাথে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে উল্টো অপর এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে দিয়ে রিপোর্ট বন্ধ করার জন্য তদবির করেন প্রতিনিধির কাছে।এবিষয়ে নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,নাচোল ইউপি চেয়ারম্যানের বরাদ্ধ বাস্তবায়নে যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।