লোহাগড়ায় দু’দিনের বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ চরমে
শেখ নয়ন,স্টাফ রিপোর্টারঃ মধ্য আশ্বিনের এমন বৃষ্টি বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এলাকাবাসী দেখে নাই। কখনো মুষলধারে, কখনো বা গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টির পানিতে সয়লাব হয়ে পড়েছে গোটা পৌরএলাকা। জেঁকে বসেছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লোহাগড়া শহরের অধিকাংশ এলাকা। জনদূর্ভোগ উঠেছে চরমে। অথচ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নি:রব-নির্বিকার।
নড়াইলের লোহাগড়ায় দু’দিনের ভারী বর্ষণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শহরবাসী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে লোহাগড়া শহরের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে কাদাপানি জমে থাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে মানুষের দূর্ভোগের যেন শেষ নাই। পানি নি:স্কাশনের কোন ব্যবস্হা না থাকায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লক্ষ্মীপাশা,লোহাগড়া,গোপীনাথপুর,,খলিশাখালী, সিঙ্গা, মদিনাপাড়া, পোদ্দারপাড়া, সরকারপাড়া, কলেজপাড়া, জয়পুর, ছাতড়া, রামপুর, কচুবাড়ীয়া, কুন্দশীসহ অন্যান্য এলাকা বৃষ্টির পানিতে সয়লাব হয়ে পড়ছে। ফলে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। শহরের লক্ষ্মীপাশা ও লোহাগড়া বাজারে আগত ক্রেতাদের দূর্দশা ও দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
পৌরবাসীর অভিযোগ, পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বছরের পর বছর পৌরবাসী জলাবদ্ধতার সাথে যুদ্ধ করে আসলেও সমস্যা সমাধানে পৌর কর্তৃপক্ষ রয়েছে নি:রব-নির্বিকার।
লোহাগড়া বাজারের ব্যবসায়ী গণেশ রায় বলেন, ‘এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসীকে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়তে হয়। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ এই দুর্ভোগ নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। ফি বছর দেখা দিচ্ছে জনদূর্ভোগ’।
জলাবদ্ধতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সিনিয়র সাংবাদিক রূপক মুখার্জি বলেন, ‘ শুরু থেকেই শহরের সড়ক উন্নয়নে পরিকল্পনা করা হয় নাই। শহরের ড্রেনেজগুলে ভালো না। এছাড়া পুকুরগুলো ভরাট করে ফেলা হয়েছে। দ্রুত শহরায়নের ফলে পানি নি:স্কাশন ব্যবস্হা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। যে কারণে অল্প বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় শহরে।’
মদিনা পাড়ার মাংস ব্যবসায়ী হুরাই বলেন, ‘শহরে জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে জনপ্রতিনিধিরা আন্তরিক নয়। ফলে জনদুর্ভোগ ফি বছর লেগেই আছে’।
জয়পুর এলাকার ঠিকাদার খোকন সরদার বলেন, ‘ শতাব্দী প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী লোহাগড়া বাজারের উন্নয়নে জনপ্রতিনিধিদের অবহেলা ও উদাসীনতা চোখে পড়ার মতো।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মসিয়ুর রহমান বলেন, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সাধ্যমত কাজ করছি।