ঢাকা | জানুয়ারী ১১, ২০২৫ - ৬:৫১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

কমলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Tuesday, January 30, 2024 - 3:13 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 64 বার

রাজন আবেদীন রাজু, স্টাফ রিপোর্টার:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ কর ও তার ছেলের বউয়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৯জানুয়ারি) রাত রাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডে আলিক মিয়ার দোকানের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারী সুমন কর একই এলাকার বারিন্দ্র কর এর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ কর ও তার ছেলের বউ বাড়ির পাশে একটা মুদি দোকানে বাজার করতে আসেন।

এসময় রিক্সা চালক প্রতিবেশি সুমন কর তাদের উদ্যোশ্যে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। কেন গালাগালী করছো বিষয়টি জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ কর ও তার ছেলের বৌউকে অটোরিক্সার সিটের নিচে থাকা চেইন দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারতে শুরু করে সুমন কর। এসময় স্থানীয়রা তার হাত থেকে বাচায় মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ কর ও তার ছেলের বউকে। পরে তারা সেখান থেকে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে। স্থানীয় বাসিন্দা শিমলা, সবিতা ও ব্যবসায়ী আলিক মিয়া জানান, ‘সুমন ও সবুজ দুইটা ভাই খুব খারাপ।

তারা যেকোনো মানুষের সাথে খুব খারাপ আচারন করে। এভাবে সুমন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ কর ও তার ছেলের বউয়ের উপড় হামলা করা ঠিক হয়নি। তারা আরও বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে যে কারো সাথে ঝগড়া হতে পারে।কিন্তু এভাবে হাত তুলা মোটেও ঠিক হয়নি। সুমন এর বড় ভাই সবুজ কিছু দিন আগেও বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ কর এ উপড় হামলা করেছে। এটার ভাল একটা বিচার হওয়া দরকার’ সুমন কর এর বড় ভাই সবুজ কর বলেন,‘আমার ভাই ছোট মানুষ বুঝেনি, তাদের উপড় হাত তুলেছে।

বিচারের মাধ্যমে বিষয়টা শেষ হবে।’ বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ কর বলেন, আমি অসহায় মানুষ। বয়স হয়ে গেছে। কিছু করতে পারিনা। মুক্তিযোদ্ধার ভাতা দিয়ে কোনো রকম ছেলের বউ সহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলি। কিন্তু সুমন রিক্সার চেইন খুলে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে আমার উপড় ও আমার ছেলের বউয়ের উপড়। তার কিছু দিন আগেও তার বড় ভাই সবুজও আমাকে মেরেছে।

তিনি আরও বলেন, হামলার পর আমি থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছি। পুলিশ সাথে সাথে একজনকে আটক করেছে। পরে রাতে আবার ছেড়ে দিয়েছে। বিষয়টি বুঝলাম না।’ কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম জানান, ঘটনা শুনার পর আমরা হামলাকরী সুমন কর কে আটক করেছি। পরে স্থানীয় কমিশনার বিষয়টি বিচারের মাধ্যমে দেখে দিবেন বলেছেন। তাই ছেড়ে দিয়েছি।