ধর্মপাশায় কুয়েত প্রবাসী মোঃ আবুল বাশার সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীথা ঘোষণা
ফারুক আহমেদ,ধর্মপাশা:আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষ্যে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কৃতিসন্তান কুয়েত প্রবাসী মোঃ আবুল বাশার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীথা ঘোষণা করেছেন।
আজ (১৮মার্চ) সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার বাদশাগঞ্জ বাজারে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কুয়েত প্রবাসী মোঃ আবুল বাশার ধর্মপাশা উপজেলার ৩নং পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা হাজ্বী আব্দুল গনি মিয়ার একমাত্র ছেলে।
উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল তালুকদার বলেন, মোঃ আবুল বাশার একজন অরাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও তারুণ্যের প্রতীক এবং নরম মনের মানুষ। আমার জানামতে তিনি (বাশার) তার ২১ বছর প্রবাস জীবনের ১৫ বছর যাবত এই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ও গ্রামের দরিদ্র অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ওইসব মানুষদেরকে নিরবে নিবৃত্তিতে সাহায্য করে আসছেন। এখন তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শোনে আমি অনেক খুশি হয়েছি। আমি মনে করে এত দিন তিনি প্রবাসে থেকে না দেখে মানুষদেরকে সাহায্য, সহায়তা করেছেন আর এখন তিনি নিজ চোখে সরাসরি দেখে অসহায়, দরিদ্র মানুষদেরকে সাহায্য, সহযোগীতা করবেন। আর এতে করে মানুষজন ভালো একটি সেবা পাবে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মোঃ আবুল বাশার বলেন, যে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত সেই এলাকাটি তত উন্নত। কেননা, আমি ২১ বছর প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি মনে করি এই বিশ্বে যত গুলো উন্নত দেশ রয়েছে ওই দেশ গুলো যত উন্নত তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার তত উন্নত। তাই আমি ভেবে দেখলাম যে আমাদের উপজেলাটি একটি হাওর ব্যষ্টিত উপজেলা। যোগাযোগ ব্যবস্থা এত উন্নত না। এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষ এখনো দরিদ্র ও কৃষক। যোগাযোগ ব্যবস্থার ভালো না হওয়ায় একজন বৃদ্ধ, প্রসূতি মা বা মুমূর্ষু রোগীকে দ্রুত উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়না।
তাই তারা ভালো চিকিৎসা সেবার অভাবে মারা যায়। এছাড়া হাওর এলাকার দরিদ্র কৃষকের কষ্টের একমাত্র বোরো ফসল সহ অন্যান্য উৎপাদিত ফসল ও হাওরের মাছ সঠিক সময় বাজারজাত করণ করতে না পারায়, নেয্য মূল্য না পেয়ে তারা প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই আমি যদি আপনাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হতে পারি তাহলে এই কাজ গুলো আমি করবো। তিনি আরো বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি প্রত্যন্ত হাওর এলাকায় হওয়ায় বর্ষাকালে আমার একমাত্র বোন মারা যাওয়ায় এলাকার কবরস্থানে আমার বোনকে কবর দিতে পারিনি। অন্য এলাকায় নিয়ে কবর দিতে হয়েছে।
তখন থেকেই আমি প্রতিজ্ঞা করেছি যে আল্লাহ যদি আমাকে তৌফিক দান করেন আমি আমার এলাকাসহ আশপাশের কবর স্থান গুলোতে যেন সারা বছর লাশ দাফন করতে পারে সেই ব্যবস্থা করবো। এছাড়াও আমার উপজেলার সর্বস্থরের সকল মানুষের যত ধরনের সমস্যা আছে আমি তাদের পাশে দাড়িয়ে সমাধানের সুব্যবস্থা করবো। বর্তমানে মহান আল্লাহ আমাক অনেক টাকা,পয়সা, ধন,সম্পদ দান করেছেন। এতে আমিসহ আমার পরিবার আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক সুখে আছি। এছাড়াও প্রবাসে আমার Al Dima Ready Made Garments ব্যবসা রয়েছে। সব শেষে এই উপজেলার প্রতিটি মানুষের আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে ধর্মপাশা উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন পদ প্রার্থীথা ঘোষণা করেন।
তিনি ছাড়াও এই উপজেলায় আর পাঁচজন প্রার্থীর রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গিয়াস উদ্দিন রানা, এনামুল হক এনি, ইমাম হোসেন, সাজেদুল হক, এম এম এ রেজা পহেল, হাফিজুর রহমান চয়ন, সেলিম আহম্মেদ, চয়ন কান্তি দাস, আরিফ খান, লিপু মজুমদার, শহিদুল ইসলাম শাহীন, রাজু ভুঁইয়া, রবি মিয়া, শাকিল শাহ, মহিউদ্দিন আরিফ, ঢাকা প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার ধর্মপাশা উপজেলা প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া স্থানীয় জনসাধারণের এক সুবিশাল উপস্থিতি ছিলো।