সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা পরিষদের কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা
স্টাফ রিপোর্টারঃ সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালার প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আন্ত বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের আহবানে আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে রবিবার (৩০জুন) ‘সকাল ১০ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদ এর নেতৃত্বে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা।
কর্মসূচির মধ্যে সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালার প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা করেছে কর্মকর্তা পরিষদ এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, সরকারি চাকরিতে বেতন তুলনামূলক কম হলেও সবাই সরকারি চাকরিতে আসেন। এই আশায় যে, যখন বয়স হয়ে যাবে, তখন আমার একটি আর্থিক নিরাপত্তা থাকবে। বয়স হয়ে গেলে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়। তখন একটি পরিবার চলবে এ পেনশনের টাকাতেই। এর উপর যেকোনো অন্যায় হস্তক্ষেপ আমরা কখনোই মানবো না।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মোকারেরম হোসেন মাসুম বলেন, আমাদের পেনশনের যে সুবিধা, তা থেকে আমাদের বঞ্চিত করতে আমলারা পায়তারা করছে। আমরা তাদের এই উদ্দেশ্য সফল করতে দিবো না। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্বায়ত্বশাসিত, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাইবে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ভেঙ্গে যাবে।
তিনি বলেন, মানুষের সুবিধা দিনদিন বাড়ে। কিন্তু বর্তমান পেনশন স্কিমের আওতায় ১৫ বছরের মাঝে কেউ এককালীন টাকা পাবে না। এতে একজন সরকারি কর্মকর্তা অবসরের সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।
আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল এর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা বলেন, চলমান পেনশনের পরিবর্তে সর্বজনীন পেনশন একপ্রকার চক্রান্ত। দেশের গুটিকয়েক সুবিধাবাদী আমলা দ্বারা প্ররোচিত হয়ে এমন বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এটা আমরা মানি না। প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অন্তর্ভুক্তি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক সমিতির
নেতৃবৃন্দ।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের সহ সভাপতি রেবেকা সুলতানা, যুগ্ম সম্পাদক এ কে এম আমিনুল হক , সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ এইচ এম এরশাদ,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আনসারী দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম রানা এবং সদস্য রাধেশ্যাম, এনামুল হক,দেলোয়ার হোসেন (স্বপন) আফরিন জাহান,ফাতেউল আলম (শিশির),নাসরিন সুলতানা, মছিউজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরতা কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রজ্ঞাপনে স্বায়ত্বশাসিত, স্বশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগামী ১ জুলাইয়ের পর যারা যোগদান করবেন, তাদের জন্য সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাধ্যতামুলক।