কেরানীগঞ্জে কনস্টেবলের বটির কোপে যুবক পঙ্গুত্বের পথে
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি:
পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পুলিশ কনস্টেবলের বটির কোপে জাফর (২৭) নামে এক যুবক পা হারাতে বসেছে। এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগীর ছোট ভাই ইব্রাহিম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন।
সোমবার বিকালে আগানগর ইউনিয়নের ইমামবাড়ী জাবালে নুর টাওয়ারের ৮ম তলায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল এসএম জাকির উত্তরা শিল্প পুলিশে কর্মরত।
এঘটনার সিসিটিভির একটি ভিডিও ফুটেজ এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যাতে দেখা যায়, ৭ম ও ৮ম তলার সিড়িতে দাড়িয়ে জাফর জাকিরের বাবা আবুল কালামের সঙ্গে কথা বলছে। এসময় তার মা জাহানারা ৭ম তলা থেকে সিড়ি দিয়ে উঠে জাফরকে চড় মারে।প্রচন্ড ক্ষুব্ধ অবস্থায় মায়ের পেছন পেছন এসে রান্নাঘরের বটি দিয়ে জাফরের ডান পায়ে কোপ মারে জাকির। এসময় সে আরও কোপ দেয়ার চেষ্টা করে। তবে অন্যদের বাধায় সে আর কোপ দিতে পারে না।
মামলার বাদী ইব্রাহিম বলেন, পুলিশ কনস্টেবল জাকিরের বাবা আবুল কালামের কাছে আমরা ব্যবসা বাবদ ২৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাই। আমাদের গার্মেন্টসের ব্যবসা। আবুল কালাম আমাদের কাপড় সংগ্রহ করে দেন। এজন্য তিনি অনেক সময় অগ্রিম টাকা নেন। এই টাকা নেয়ার পর সে আর ফেরত দিচ্ছে না, এমনকি কোন মালও দিচ্ছে না। কিছু বললেই ছেলে পুলিশে চাকরি করে এই ভয় দেখাতো।
ঘটনার দিন আমার বড় ভাই পাওনা টাকা আনতে ওই বিল্ডিংয়ে আবুল কালামের ভাড়া বাসায় গেলে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা তাকে মারধর করে। এসময় আবুল কালামের ছেলে জাকির বটি দিয়ে সজোরে জাফরের ডান পায়ের সামনের অংশে হাঁটুর নিচে কোপ দেয়। এতে তার মাংস কেটে হাড়েও গভীর ক্ষত হয়েছে। আমরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেই। সেখান পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়। মঙ্গলবার পঙ্গু হাসপাতালে জাফরের পায়ে অপারেশন হয়েছে। তবে তার স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ডাক্তার।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল এসএম জাকির মুঠোফোনে বলেন, আমার বাবা মাকে গালিগালাজ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে কোপ দিয়েছি। তারা আমাদের অনেক জ্বালাচ্ছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, এঘটনায় জাকিরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আলমগীর হোসেন