ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৬:২৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

পঞ্চগড়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ: সিন্ডিকেট ভাঙতে পঞ্চগড়ে ন্যায্যমূল্যের বাজার

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Thursday, November 21, 2024 - 3:33 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 6 বার

স্নিগ্ধা খন্দকার, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ও ক্রেতাদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ন্যায্যমূল্যের বাজার চালু করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় জেলা অডিটোরিয়াম চত্বরে এ বাজারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী।

এই বাজারে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি সবজি ও অন্যান্য পণ্য সংগ্রহ করে সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। উদ্বোধনের পর থেকেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

ন্যায্যমূল্যের বাজারে আলু ৫৫ টাকা, লাউ ২০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, করলা ২০ টাকা, মরিচ ৬৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, লাল শাক ৩০ টাকা, মুলা ৩৫ টাকা, ডাটা শাক ১৮ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা এবং পালং শাক ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া: রামেরডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ (৬০) বলেন, “বাজারের তুলনায় এখানে ২০-৩০ টাকা কমে সবজি পাচ্ছি। আরও দোকান এবং পণ্য বাড়ালে সুবিধা হবে। প্রতিদিন এ বাজার বসলে খুব ভালো হয়।”

স্বেচ্ছাসেবীদের ভুমিকা: সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক আহসান হাবিব বলেন, “আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা ভোরে কৃষকদের খেত থেকে সবজি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছে। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভ কমেছে। কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে, আর সাধারণ মানুষও কম দামে টাটকা সবজি কিনতে পারছে।”

বাজারে দরিদ্রদের জন্য একটি ‘সবজি দান বাক্স’ স্থাপন করা হয়েছে। ক্রেতারা চাইলে দরিদ্রদের জন্য সবজি কিনে এখানে দান করতে পারেন।

জেলা প্রশাসক এর বক্তব্য: জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী জানান, “সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারে, সেজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাহিদা ও প্রয়োজন বিবেচনায় এ কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করা হবে।”

এছাড়া আলুর সিন্ডিকেট ভাঙতে জেলা প্রশাসন বুধবার বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজ থেকে ১৪ টন আলু কিনে কম দামে বিক্রির ব্যবস্থা করেছে।

ন্যায্যমূল্যের বাজার শুধু ক্রেতাদের জন্য স্বস্তি নয়, এটি কৃষকদের জন্যও সুষ্ঠু বাজার তৈরি করছে। এই উদ্যোগ পঞ্চগড়ে বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর উদাহরণ হয়ে থাকবে। প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এমন উদ্ভাবনী প্রকল্প ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হওয়ার আশা করছে স্থানীয় জনগণ।