অসহায়দের জমি জবরদখল করে সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ মাওঃ কাসেমীর বিরুদ্ধে
স্টাফ রিপোর্টারঃমাদ্রাসার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে অসহায় পরিবারের জমি জায়গা জবরদখল করে সম্পদলের পাহাড় গড়ার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ নগরীর খাগডহর মদিনা নগর জামিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার স্বত্বাধিকারী মাওলানা নূর আহমদ কাসেমীর বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসাকে ঢাল বানিয়ে ও নিরীহ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে জমি ক্রয়ের নামে দখল বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন মহলে।
অভিযোগ রয়েছে মাদ্রাসার স্বত্বাধিকারী মাওলানা নূর আহমদ কাসেমীর বিলাস বহুল জীবন যাপনের শুরু হওয়ার পিছনে রয়েছে নিরীহ মানুষের আংশিক জমি ক্রয় করে অবশিষ্ট জমি মামলার ভয় আর বিভিন্ন হুমকি ধমকি। এভাবেই তিনি গড়েছেন নামে বেনামে বিপুল পরিমাণের সম্পদ। জমির মালিকানায় থাকা অধিকাংশ ভুক্তভোগীর বাড়ী নগরীর ৩০নং ওয়ার্ডের রহমতপুর বাইবাস এলাকায়।
বিভিন্ন মহল ও এলাকার সূত্রে জানা যায় যে- এই নূর আহমেদ কাসেমী নিরীহ মানুষকে দাওয়াত দিয়ে বাসায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও টিপসহি নেন। এমন একজন ভুক্তভোগী ঘুন্টির মিজানুর রহমানের স্ত্রী শিল্পী আক্তারের কাছে শুনবো তার এই ভয়ানক অপকর্মের কথা।
উপজেলার খাগডহর ঘন্টি এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন আমাদের একটি জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে ৩৯ শতাংশ জমির মধ্যে বিক্রি করা হয়েছে ২৩ শতাংশ, বাকি আছে ১৬ শতাংশ যা দখলে নিয়ে নিয়েছে, এ জমির দলিল আরওআর সিএস খাজনা খারিজ সবই আছে কিন্তু আমরা বিচার পাইনি কাশেম এর কাছে অনেকবার যাওয়া হয়েছে কোন কথাই সে শোনে না উনি নিজেকে বিশাল বড় কিছু একটা ভাবে সবাই বলে হুজুর আসলেও সে হুজুর না সে একটা ভুয়া মুন্সী এখন এই সরকারের কাছে এবং সেনাবাহিনীর কাছে আমার বিচার আমাদের জমির একটা সুরাহা করে দিন শিল্পীর এমন আকুতি করে বলেন আমরা আর কি করবো করার কিছু নাই ওদের অনেক ক্ষমতা ওদের গুন্ডাবাহিনী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আমরা ভয় পাই। আপনাদের কাছে হাতজোড় করে বলতেছি আমাদের সমস্যার সমাধান করে দিন।
সাংবাদিকরা আসে কাসেমী টাকা পয়সা দিয়ে সব দাবি রাখে সাংবাদিকদের কাছে দাবি আপনারা সমাজের আয়না দেশের আয়না আপনারা হলুদ সাংবাদিকের মতন কাসেমের কাছে বিক্রি হয়ে যাইয়েন না এটা আমাদের সবার পক্ষ থেকে অনুরোধ রইল। কাসেমী হুজুরের জমি ক্রয়ের নামে আত্মসাত ও দখল মুক্ত করতে বর্তমান সরকার ও সেনাবাহিনীর কাছে বিচার চাই।
এর আগে খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন জামিয়া কাসেমিয়া মোমেনশাহী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা নূর আহমদ কাসেম গত ২৬ অক্টোবর তার কেনা ২৭.৭৪ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে বাউন্ডারি নির্মাণ করেছে। এতে তার আত্মীয়-স্বজনরা বাঁধা দিতে গেলে মাদ্রাসার ছাত্রদের হাতে লাঠি তুলে দিয়ে সংঘর্ষ বাঁধানোর চেষ্টা করে এই কাসেম।
এ ঘটনায় তিনি (খলিলুর রহমান) আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু কাসেম আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে দেয়াল নির্মাণের কাজ চালিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আমার বাবা বজলুর রহমানের ৩০ শতাংশ জমিও জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে এই ভূমিখেকো কাসেম।
অপর ভূক্তভোগী বদরুন নাহার বলেন, আমি ১৪ বছর যাবত আমার ক্রয়কৃত ১৩ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছি, কিন্তু হঠাৎ করে ভূমিদস্যু কাসেম আমার সেই জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে।
আরেক ভূক্তভোগী খালেদা আক্তার হ্যাপী বলেন, আমার ১৬ শতাংশ জমির দলিল সংশোধের কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে লিখে নিয়েছে জামিয়া কাসেমিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা নুর আহমদ কাসেম।