পেঁয়াজ বীজ কান্ডে বিএডিসির দুই কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত ও এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনে বিরতির আদেশ
ঢাকা : চলতি মৌসুমে দেশের কয়েকটি জেলায় বিতরণকৃত পেঁয়াজ বীজের অংকুরোদগম হার অস্বাভাবিক কম হওয়ায় কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতি হয় মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস ও জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে এর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও অদক্ষতা পরিলক্ষিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা ১৯৯০ অনুযায়ী ড. মো: মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক, বীজ পরীক্ষাগার, গাবতলী, বিএডিসি, ঢাকা ও আহবায়ক পেঁয়াজ বীজ মূল্যায়ন কমিটি, শাহানা আক্তার, উপপরিচালক, সবজি বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, গাবতলী, বিএডিসি, ঢাকা ও সদস্য সচিব, পেঁয়াজ বীজ মূল্যায়ন কমিটিকে ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে বিএডিসির সচিব(উপসচিব) ড. কে, এম, মামুন উজ্জামান স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
একই ঘটনায় মো: মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য, পরচালক(বীজ ও উদ্যান), চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত, বিএডিসি, ঢাকাকে ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ বিএডিসির চেয়ারম্যান (গ্রেড -১) মো: রুহুল আমিন স্বাক্ষরে অর্পিত দায়িত্ব পালনে বিরত রাখার আদেশ জারী করা হয়।
উল্লেখ্য, বিএডিসি কর্তৃক ক্রয়কৃত পেঁয়াজ বীজের তাহিরপুর জাতের শীতকালীন অংকুরোদগম হার. ০৭ নভেম্বর ২০২৪ বীজ মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ৮০% ও ৮১% দেখানো হয়। অথচ কৃষকের মাঠে বিশেষ করে ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলায় অংকুরোদগম হার ক্ষেত্র বিশেষ ১০% থেকে ২০% হয়। এতে প্রতীয়মান হয় মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন যথার্থ ছিল না।
বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় অধিকতর তদন্ত করে জড়িত কর্মকর্তা ও বীজ সরবারাহকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।