কুড়িগ্রামে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে কালাই চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে ৫ম দফা বন্যায় আমন ধানে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবারে মাস কালাই চাষে ঝুঁকে পড়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় বিভিন্ন নদ-নদী অববাহিকায় জেগে উঠা চর সমূহে চর ও নিচু জমিতে মাস কালাই চাষাবাদ করে ভালো ফলন হওয়ায় লাভের আশা করছে কৃষকরা। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পেলে এ চাষাবাদের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ আরো বাড়বে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী, কদমতলা, নেওয়াবশ, গারুহারা, গোবিন্দপুর, মোগলবাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড়, চরকৃষ্ণপুর ও উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা, জাহাজের আলগা, নামাজের চর, মেকুরের আলগা, গেন্দার আলগা, কাজিয়ার চর, দলদলিয়া, থেতরাই, গুনাইগাছ, বজরা, বুড়াবুড়ী, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া, আকেলমামুদ ও উত্তর বালাডোবা সহ বিস্তৃর্ণ চর এলাকায় এবারে বারি মাস কালাই-৩ চাষাবাদ করা হয়েছে। শৈত্বপ্রবাহ থাকার পরেও চাষাবাদকৃত জমিগুলো সবুজে ভরে গেছে।
জাতীয় খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ধান গমের পাশাপাশি মাস কালাই চাষ চরাঞ্চল এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া গ্রামের স্থানীয় কৃষক মকবুল, আজগার আলী, আমির হোসেন সহ অনেকেই জানান, মাস কালাই আবাদ এবার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করছি ভালোই ফলন হবে। কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন পরামর্শের মাধ্যমে মাস কালাই চাষাবাদ করেছে কৃষকরা।
উলিপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিম জানান, সরকারী ভাবে পুনর্বাসনের আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বারি মাস কালাই-৩ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আরো জানান, ৫ম ধাপে বন্যা ও বৃষ্টিতে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় তাদের ফসলি জমিতে মাস কালাই চাষাবাদ করে পারিবারিক ভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কিছুটা সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।