কেন্দ্রীয় আ.লীগনেতা কাওছারের আগুনে পুড়ে যাওয়া দৌলতকান্দি স্থান পরিদর্শন করেন
হারুনুর রশিদ বিশেষ প্রতিনিধি : নরসিংদীর রায়পুরয় বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাড. এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার। ২ জানুয়ারি দুপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া দৌলতকান্দি বাজার পরিদর্শন করেন। এ সময় কাওছার বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকান্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ক্ষতিগ্রস্তের সরকারি তহবিল থেকে ক্ষতিপুরণ পাওয়ার ।
সাধারন মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামীলীগ সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতাারয় থাকবে এদেশের প্রত্যেকটা মানুষ তার নাগরিক সুবিধা পাবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন রায়পুরা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ইমান উদ্দিন ভূইয়া, সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক একেএম মহিউদ্দিন, ক্রিড়া ও সংস্কৃতিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম করিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দীপু মাহমুদ, সহসভাপতি এনায়েত উল্লাহ ভূইয়া প্রমুখ ।
উপজেলার মহেষপুর ইউনিয়নের দৌলতকান্দি গ্রামে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ফলে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হোসেন মার্কেটের ১২টি দোকান ও একটি বসতঘর সহ রান্নাঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১২টায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানান এলাকাবাসী। ভুক্তভোগীরা জানান, পার্শবর্তী একটি দোকানের শর্ট সার্কিটের থেকে আগুন লাগে।
পরে ঘন্টা খানেক এর মধ্যে একে একে ১২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয়রা আগুন লাগার পর অনেক চেষ্ঠা করেও আগুন নিয়ত্রনে আনতে না পেরে ৯৯৯ এর মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।খবর পেয়ে রায়পুরা ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ও ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫০ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।ততক্ষনে ওই ভয়াবহ আগুন সেলুন, ফার্ণিচার, হার্ডওয়ার, ওয়ার্কশপ, ইলেকট্রনিক, মোবাইল, স্বর্ণের দোকান, চাউল ও গ্যাস এর দোকান সহ সর্বমোট ১২টি দোকান ও ১টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলেও জানান তিনি। এমতাবস্তায় তিনি ভুক্তভোগী দোকানী ও পরিবারটির সহযোগীতায় এগিয়ে আসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
একইসাথে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার বিত্তবানদের ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানান। রায়পুরা ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান বিল্লাল হোসেন জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ফলেই এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত।
রাত ১২টা ১৬ মিনিটে আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছি। তারপর রায়পুরা ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ও ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিটের যৌথ প্রচেষ্ঠায় দীর্ঘ ৫০ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই।