রাষ্ট্রপতির ৭৮তম জন্মদিনে ৭৮ পাউন্ডের কেক কেটে কিশোরগঞ্জবাসীর উদযাপন
হাকিকুল ইসলাম খোকন সিনিয়র সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জে নানা আনুষ্ঠানিকতায় রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ এঁর ৭৮তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির শিক্ষা ও রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিবিজড়িত গুরুদয়াল সরকারি কলেজ সংলগ্ন নরসুন্দা মুক্তমঞ্চে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গত শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ এঁর ৭৮তম জন্মদিন উদযাপন কমিটির আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে ৭৮ পাউন্ডের বিশাল এক কেক কেটে রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ এঁর ৭৮তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জন্মদিন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পিপি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক।
এতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম(বার),অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জিপি অ্যাডভোকেট বিজয় শঙ্কর রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুল, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহজাহান, ১৯৮০ এর দশকের কটিয়াদি কলেজ ছাএ সংসদের সাবেক ভিপি আওয়ামী লীগনেতা সিদ্দিকুর রহমান ভুইয়া,রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের পরিচালক রাষ্ট্রপতির মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম হুমায়ুন ,কটিয়াদি আওয়ামী লীগের দুই নেতা একেএম ফায়জুললাহ বাদল ও নজরুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ এঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু।
অনুষ্ঠানে রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী এবং কিশোরগঞ্জের নানা শ্রেণিপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা ও কেক কাটা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
জন্মদিন উদযাপন কমিটি ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ এঁর ৭৮তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। এ সময় বক্তারা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনাসহ তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
কিশোরগঞ্জ জেলার হাওরবেষ্টিত মিঠামইন উপজেলার দুর্গম কামালপুর গ্রামে ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বাবা হাজী মো. তায়েব উদ্দিন, মা তমিজা খাতুন।
হাওরের কাদা-মাটি-জলে গড়াগড়ি খেয়ে বেড়ে ওঠা আবদুল হামিদ নিকলী জিসি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। পরে একই কলেজে বিএ শেষে ঢাকা ল’ কলেজ থেকে অর্জন করেন এলএলবি ডিগ্রি।
ছাত্রজীবন থেকেই আবদুল হামিদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এর পর তিনি জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ হিসেবে। কিশোরগঞ্জ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন সাতবার।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে দায়িত্ব পান ডেপুটি স্পিকারের। অষ্টম জাতীয় সংসদে ছিলেন বিরোধীদলীয় উপনেতা। স্পিকারের দায়িত্ব পান নবম জাতীয় সংসদে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। এর পর ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।