জেফরি পেরেইরার মৃত্যুতে- ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শোক
শোক বার্তা :
জেফরি পেরেইরা গতকাল ১৩ ডিসেম্বর রবিবার, সকাল ৭ টায় ঢাকাস্থ সেন্ট জন ভায়নি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন । তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
শোক বার্তায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জেফরি পেরেইরা আমার বড় ভাই তুল্য ছিলেন, আমি তাঁর মৃত্যু সংবাদে ব্যাথিত। তিনি ছিলেন একজন মৃদু ভাষী, জনদরদী ও বন্ধু পরায়ণ মানুষ। সর্বদা মানুষের দুর্দশায় সমব্যাথী। আদ্যপান্ত ভাল মানুষ এবং একজন ভাল খ্রিষ্টান।
১৯৯০ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাদের সংগঠন (এডাব) এর নির্বাচিত সভাপতি থাকা অবস্থায় কতিপয় সদস্যর এডাব কে রাজনীতি করণের বিরুদ্ধে আমি অবস্থান নিলে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সেই সময় আমার পাশে দাড়িয়ে ছিলেন জেফরি পেরেইরা, ফাদার টিম ও ফজলে হাসান আবেদ। গত একবছরের মধ্যে আমরা তিন জন কেই হারালাম।
আমার সাথে জেফরি পেরেইরা প্রথম পরিচয় ১৯৭২ সালে, যখন যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশে খ্রষ্টান ত্রান সাহায্য কর্মসূচির দায়িত্ব তাঁকে দেয়া হয়। আমরা অসংখ্যবার একসাথে হয়েছি বাংলাদেশের উন্নয়ন সমস্যা এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলাপচারিতায়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের শুরুর সময় জেফরি এবং ফাদার টিম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
সাধারণ জনগণের উন্নয়নের জন্য তাঁর আতœ নিবেদন ও তাঁর প্রজ্ঞ্যার জন্য তাঁকে শ্রদ্ধা করতাম । তাঁর পরিবার হারিয়েছে একজন প্রিয়জনকে। বাংলাদেশের খ্রষ্টান স¤প্রদায় হারিয়েছে একজন সম্মান্য সদস্য, বাংলাদেশ হারালো এক গুণসম্পন্ন সুবিদিত নাগরিক। আমি হারালাম বন্ধু ও বড় ভাই।
বার্তা প্রেরক-
জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু
প্রেস উপদেষ্টা,গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
CONOLENCE
I am very sad to hear of the demise of Jeffrey Pereira, someone who was like an elder brother to me. He was a soft-spoken person, always concerned for the welfare of the people and for the well-being of his friends. He was full of empathy for the plight of others. He was a good Christian and a good human being.
When in 1990 as the elected Chairperson of ADAB I tried to oppose the attempt by some members to politicise the organisation, they tried to conspire against me. At that time, two persons who stood by me were Jeffrey Pereira and Fazle Hasan Abed. Now in the course of this last one year we have lost both of them.
I first came to know Jeffrey in 1972, when he was placed in charge of Christian relief operations in war-torn independent Bangladesh. There were innumerable occasions when we met to discuss the problems and prospects of development work in Bangladesh. Jeffrey and Father Timm, as part of CARITAS, helped Gonoshasthaya Kendra in its early years. I admired his dedication and his resolve and held him in great respect. My heartfelt condolences to his family who have lost their loved one. The Christian community has lost an honourable member and Bangladesh has lost a great citizen. I have lost a friend and older brother. I will miss Jeffrey very much.