ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক উপহারে মাথা গোজার ঠাই পাচ্ছেন১৩০৫টি অসহায় পরিবার
আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ : মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাতেও প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বিভিন্ন উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে স্বপ্নের নীড় ।
এতে উপজেলাগুলোর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর ভাগ্য বদলে যাবে। তারা পাবে মাথা গোজার ঠাঁই। ময়মনসিংহ জেলায় বাড়ি পাচ্ছে ১৩০৫টি অসহায় পরিবার। ইতিমধ্যে এসব ঘরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। উকি দিচ্ছে লাল টিনের ছাউনি। নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় ঘর নির্মানে স্বচ্ছতা যাচাই-বাছাইয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ইউএনও, এসিল্যান্ড সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিত পরিদর্শন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১৩০৫টি পরিবারের জন্য পুরোদমে সরকারি খাস জমিতে গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে। অধীর আগ্রহে উপকারভোগীরা সময় পার করছেন কখন তাদের তাদের স্বপ্নের গৃহে উঠবে। ‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ মুজিববর্ষে ময়মনসিংহ জেলায় গৃহহীন ও ভুমিহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবাসন হিসেবে প্রদত্ত খাস জমিতে গৃহ নির্মাণের কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
এব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় ২৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ কাজ চলছে।
১৭টি স্পটে এবং ১০টি ইউনিয়ন ও সিটিতে খাস জমিতে এই ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। প্রত্যেকেই ২শতাংশ জমির কবুলিয়তসহ ঘর পাবে।
ইতিমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নেই ভুক্তভোগীদের মাঝে ঘরের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনযায়ী আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্মান কাজ সম্পন্ন করার থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পুর্বেই সবগুলো ঘরের কাজ কাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করার পক্রিয়া চলছে।
তিনি আরো জানান, দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। সবগুলো বাড়ি সরকার নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে। রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা থাকছে এসব ঘরে।
এদিকে ঘর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও স্বচ্ছতা যাচাই-বাছাইয়ে জেলা প্রশাসক মিজানুর স্ব-শরীরে বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করছেন। কথা বলছেন ভুক্তভোগীদের সাথে।
জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক জানান- ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ময়মনসিংহে ৪ হাজার ৭০৮ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করা হয়। ২০২০-২১ অর্থ বছরে মুজিব শতবর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণির গৃহ নির্মাণের জন্য প্রথম পর্যায়ে জেলার ১৩টি উপজেলায় ১ হাজার ৩০৫টি গৃহের অনুমোদন দেওয়া হয়। আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক খাস জমি দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। পরিবহনে প্রতি ঘরের জন্য আরো ৪ হাজার টাকা খরচ ধরা হয়েছে। টিনের চাল, দেয়াল ও মেঝে পাকা বাড়িগুলো সরকার নির্ধারিত একই ডিজাইনে নির্মাণ করা হচ্ছে। বাড়িতে থাকছে রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট ও ইউলিটি স্পেসসহ অন্যান্য সুবিধা।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্দেশনা পাওয়ার পরই জেলা জুড়ে খাস জমি চিহ্নিতকরণ ও ডিসেম্বরের শুরু থেকে গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা থাকলেও ১০ জানুয়ারির মধ্যে গৃহ নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য চেষ্টা চলছে জেলা জুড়ে। জেলা প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে স্বচ্ছতার সহিত প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মানবতার উপহার মাথা গোজার ঠাই পাওয়ায় ডিসি মিজানুর রহমান ও মানবিক প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন ভুক্তভোগীরা।।