বিপাকে ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা হামলাকারীদের দেশপ্রেমিক বলে
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধিঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী ক্যাপিটল ভবনে হামলাকারীদের আমেরিকান দেশপ্রেমিক বলে সমালোচনার জন্ম দিলেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ইভাঙ্কা এই টুইট দিতেই মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পরে। পরবর্তীতে ইভাঙ্কা তার একাউন্ট থেকে টুইট মুছে ফেললেও সমালোচনা বন্ধ করতে পারেননি।
ক্যাপিটলে হামলা শুরু হলে ট্রাম্প কন্যা টুইটে বলেন, আমেরিকান দেশপ্রেমিকেরা, আমাদের আইনের প্রতি অসম্মান এবং নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানো কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করুন এবং শান্তিপূর্ণ থাকুন।টুইটটি প্রকাশ হতেই সমালোচনার মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা এবং তার উপদেষ্টা। কীভাবে হামলাকারীরা দেশপ্রেমিক হয়ে গেলেন তার কাছে ব্যখ্যা চাওয়া হয়। কিছু সময় পরেই নিজের টুইট ডিলিট করে দেন ইভাঙ্কা। কিন্তু ডিলিট করার পরেও নেটিজেনদের প্রশ্ন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি।
সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের হোয়াইট হাউজ প্রতিনিধি কেট ব্যানেট তার কাছে জানতে চান, ইভাঙ্কা নিজের অবস্থান পরিষ্কার করুন। আপনি কী তাদেরকে দেশপ্রেমিক বলতে চাইছেন? জবাবে ইভাঙ্কা টুইটে বলেন, না, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হচ্ছে দেশপ্রেম। সহিংসতা কখনোই আমাদের কাম্য নয়। কঠিন এই পরিস্থিতিতে আমি সত্যিই দুঃখ প্রকাশ করছি।
ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকেরা যখন এই হামলা চালায় তখন মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট গণনা করছে। পরবর্তীতে সিনেটর এবং কংগ্রেস প্রতিনিধিদের ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বার্তা সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের হামলায় ক্যাপিটল ভবনের বাতাস যেন ধোয়ায় পরিণত হয়। কোনো কোনো জায়গায় কর্মকর্তাদের পিপার স্প্রে ব্যবহার করেন। টিয়ার গ্যাসও নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে যদিও নিশ্চিত হওয়া জায়নি যে এটা পুলিশ না হামলাকারীরা নিক্ষেপ করেছে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলায় একজন নারী গুলিবদ্ধ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও টুইটে বিদ্রোহকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। ট্রাম্প বলেন, আমাদের ক্যাপিটল পুলিশ এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করুন। তারা সত্যিই আমাদের দেশের পক্ষে কাজ করে। আপনারা দয়া করে শান্ত থাকতে চেষ্টা করুন। আমরা কোনো সহিংসতা চাইনা। মনে রাখতে হবে, আমরা সেই রাজনৈতিক দল যারা সবসময়ই দেশের আইনের ব্যাপারে সবসময়ই শ্রদ্ধাশীল।
পরবর্তীতে একটি ভিডিও বার্তাতেও ট্রাম্প আন্দোলনকারীদের ফিরে যেতে অনুরোধ করেন।