ঢাকা | ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ - ১:২৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

কমলগঞ্জের পাত্রখোলা লেকে অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে লেক

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Tuesday, December 15, 2020 - 2:29 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 135 বার

রাজন আবেদীন রাজু কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাত্রখোলা লেক যেন শীত মৌসুমে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে।উপজেলার সীমান্তবর্তী মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের ১৮নং সেকশনে অবস্থিত এ লেকটির চারপাশে উঁচু উঁচু টিলা আর চা বাগানের সৌন্দর্য যে কোন পর্যটককে আকৃষ্ট করবে।

প্রতি বছরের মতো এবছরও শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে অতিথি পাখিরা দলে দলে আসছে এ লেকে। অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত লেকটি যেন পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। হিমেল বাতাসে সুনসান চা বাগানের ভিতরে সবুজের এক প্রাকৃতিক স্পট পাত্রখোলা কৃত্রিম লেক। চারদিকে চা বেষ্টিত বাগান এ লেকে এখন ফুটে থাকা সাদা পদ্ম আর পাখির ওড়াওড়ি, জলকেলি-খুনসুটি যেন চেনা দৃশ্য হয়ে উঠেছে। লেকটি লোকচক্ষুর অন্তরালে হলেও প্রতিদিন ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। লেকের সৌন্দর্য্য রক্ষায় বাগান কর্তৃপক্ষ নিয়েছে আলাদা পাহারার ব্যবস্থা। কৃত্রিম এ লেইকটি ঘিরে পর্যটনের অপারসম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে পাত্রখোলা লেকে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে উঁচু টিলা আর চা বাগানের বাঁকের লেইকে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলা পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ। নানা বর্নের ছোট-বড় পরিযায়ী পাখি। সব মিলিয়ে পাত্রখলা লেইকে এক অন্যরকম আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। পাত্রখোলা চা বাগান ফ্যাক্টরীর সামনের রাস্তা দিয়ে চা বাগানের মধ্য দিয়ে আঁকা-বাকাঁ রাস্তা ধরে এগোলেই দেখা মিলে উঁচু উঁচু টিলা। টিলা বেয়ে নিচে নামলেই দেখা মিলবে এদের। নিজেদের বাঁচার প্রয়োজনে এরা হাজার-হাজার মাইল পথ উড়ে বছরের এ সময়টাতে এখানে আসে। অনেকেই আবার দুই-আড়াই মাস পর চলে যায়। কেউবা স্থায়ীভাবে থেকে যায়। পাখিদের মধ্যে রয়েছে কালকোর্ট, পানকৌড়ি, ধনেশ পাখি, সাপ পাখি, মচরংভূতি হাঁস, সাদা বক, লালচে বক, পাতারি হাঁস, জলকুট, খয়রা, কাললেজ জহুরালীসহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখি।

পাত্রখোলা লেকে পাখি দেখতে আসা সজীব দেবরায়, মো: আহাদ মিয়া, অমিত ধর, মো: তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, এখানে কাছ থেকে অতিথি পাখিদের দেখা যায়। এই লেকের পরিবেশ এত মনোরম যে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না। পাখিদের ওড়াওড়ি ও কিচিরমিচির শব্দে মন জুড়ানো একটা অনুভূতি আসে। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অতিথি পাখিদের অবাদ বিচরনের ব্যবস্থা করা হলে দিন দিন আমাদের দেশে পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। অতিথি পাখি যাতে অবাধে বিচরন করতে পারে সে দিকে বনবিভাগের নজর রাখা উচিত।

পাত্রখোলা চা বাগানের চা শ্রমিক রেবকী রিকিয়াশন, আলো ফুলমালী, নৃপেন বাউরী, সুমন গোয়ালা, দীপালি মুন্ডা জানান, পাখিগুলো শীত মৌসুমে এখানে থাকে বলে সাধারণত ‘অতিথি পাখি’ (মেহমান পাখি) বলেই এদের পরিচিতি। পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানো ও পানিতে ঝাঁপাঝাঁপিতে যেনো অন্যরকম সৌন্দর্যে সাজে এ লেকটি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ আর ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য দেখতে খুবই ভাল লাগে।