ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৯:২৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শীত কালীন সবজি (ফুলকপি) চাষী কৃষিকদের মুখে হতাশার ছাপ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Friday, January 15, 2021 - 8:58 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 180 বার

মোঃ মেছবাহুল আলম, কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধিঃ প্রতি বছরের নেয় এবার ও কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় শীত কালীন সবজি ফুলকপি চাষ হয়।

তবে, পাইকেরছড়া ইউনিয়নে এ বছর ফুলকপি চাষি কৃষকদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ পরেছে।

এবছর তাদের শীত কালীন সবজি ফুলকপি, বিক্রেতার অভাবে জমিতেই অতিরিক্ত ফুটে নষ্ট হয়ে ঝড়েচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।

গত বছর ঠিক এ সময় ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শীত কালীন সবজি ফুলকপি চাষ করে অনেক খানি লাভের মুখ দেখেছিলো। তখন চাষীরা ফুলকপি জমি থেকে বিক্রি করেছিলো ২৩/২৪ টাকা। কিন্তু এবছর লছ তো হবেই তাদের সবজি বিক্রিই করিতে কষ্ট হচ্ছে।

এখন তারা কাশিমবাজার বাজারে, জয়মনিরহাট বাজারে, পাগলারহাট বাজারে,সোনাহাট বাজারে,এবং ভূরুঙ্গামারী বাজারে শীত কালিন সবজি ফুলকপি বিক্রি করিতেছেন ৩/৪ টাকা পিস করে। যা কৃষকদের চারা ক্রয় থেকে শুরু করে ফুলকপি উঠানো পর্যন্ত তাদের অনুমানিক প্রতি ফুলকপি প্রতি খরচ পরেছে ৮/১০ টাকা।
যা এ বছর আমাদের মূল্যধন সহ টানদেবে বলে মনে করছি।

শীত কালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সব জাগায় নতুন শাক সবজি হয়। সে সময় কৃষকদের ও ব্যবসা ভালো হয়।

কিন্তু এ বার আমরা গজারিয়ার কৃষকেরা শীত কালীন সবজি ফুলকপি চাষ করে অনেক খানি লছের মুখ দেখিবো বলে মনে করছি।

কিছু স্থানীয় কৃষকদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারি,

একে, এবছর ব্যবসা ভালোনা তা উপর আমাদের উপজেলাতে তেমন শীতের প্রভাব পরেনি। যেহেতু ফুলকপি শীত কালীন সবজি, কিন্তু শীত এবার কম সে কারনে আমাদের জমির সকল ফুলকপি গরমের কারনে একসাথে তারাতারি ফুটে গেছে। তাই আমরা বিক্রি করে শেষ করিতে পারিনি অনেক কপি নষ্ট হয়ে পরেছে তা আমরা আমাদের জমির আইলে ফেলেদিতে বাধ্য হয়েছে। কিছু সবজি গরুকে খাওয়াতে বাধ্য হই। যা কিনা আমাদের মত ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য অনেক খতি বা লছের কারন বলে মনে করেন কৃষকেরা।

তারা আরো জানান, আমাদের পরিকল্পনা ছিলো আমাদের জমির সবজি আমরা ধিরে ধিরে ধারা বাহিক ভাবে বিক্রি করিবো। কিন্তু এবার আমরা প্রথম থেকেই বেশি দাম পাইনি, তা উপর আবার এবার আমাদের জেলায় তেমন শীতের লক্ষন দেখা দেয়নি।সে কারনে মুটামুটি গরম পরিবেশ বিরাজমান ছিলো এক সাথে সকল সবজি (ফুলকপি) ফুটে পরে জমিতে তাতে করে এক সঙ্গে সকল সবজি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি কৃষকদের। পাশাপাশি তাদের তুলনা মূল্যক বিক্রিয় মূল্য ও ছিলো খুব কম, যার কারনে তারা শীত কালীন সবজি ফুলকপি চাষ করে অনেক খানি খতির মুখামুখি বলে আমাদের জানান।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামের স্থানীয় কৃষক মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন জানান,গত বছর তিনি একি জমিতে সবজি ফুলকপি বিক্রি করিতেছেন এক লাখ টাকা, ঠিক একি জমিতে এবার বিক্রি করিতে পারেনি বিশ হাজার টাকাও।

তিনি আরো জানান যে, দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারী কাঁচা মালের বাজার যাএরাবাড়ি, সেখানে সবজি বিক্রি করিতে গিয়ে সবজি ফেলে আসিতে বাধ্য হই,,,গাড়ি ভাড়া ও হবেনা।

তিনি জানান,এখন সরকারের নিকট আমাদের উপজেলা পরিষদ,প্রশাসন,এবং কৃষি অধিদপ্তরের কাছে তাদের আকুল আবেদন সরকার যাতে তাদের পাশে এসে ধারায়।