ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৯:৫৪ অপরাহ্ন

নড়াইলের সীমান্তবর্তী বাঁকড়ীতে কমরেড অমল সেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Monday, January 18, 2021 - 1:59 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 96 বার

নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের তে-ভাগা আন্দোলনের অগ্রপথিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি কমরেড অমল সেনের অষ্টাদশ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে নড়াইল যশোরের সীমান্তবর্তী বাঁকড়ীতে দুদিনব্যাপী অমল সেনের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ‘কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে দু’দিনব্যাপি চলবে এ অনুষ্ঠান।

দুপুরে কমরেড অমল সেনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন‘কমরেড অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটি’, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। অশ্বনিী কুমার বশ্বিাসরে সভাপতত্বিে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলটি ব্যুরোর সদস্য মাহামুদুল হাসান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করবেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা নড়াইল-২ আসনের সাবেক এম,পি কমরেড এ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নড়াইল জেলা সভাপতি কমরেড এ্যাড. নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. আবু বক্কার মিদ্দিক, ছব্দুল হোসেন,মলয় কুমার নন্দী, ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। দ্বিতীয় দিন ১৮ জানুয়ারী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে। কোভিড-১৯ বাস্তবতায় এবারের আয়োজন সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে জানালেন ‘কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র সম্পাদক অধ্যাপক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস। কমরেড অমল সেন ১৯১৪ সালের ১৯ শে জুলাই আউড়িয়ার প্রখ্যাত রায় পরিবারে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ছিলেন নড়াইলের আফরার জমিদার পরিবারেরর সন্তান। নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় বৃটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী ‘অনুশীলন’ গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত হন। দৌলতপুর বিএল কলেজে গনিতশাস্ত্রে সম্মান শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মার্কসবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন এবং পড়ালেখা অসমাপ্ত রেখে বাড়িতে ফিরে এসে কমিউনিস্ট আব্দোলন করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন মানব জীবনের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি হতে পারে মানব সমাজের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করা তথা শ্রমজীবী মানুষের শোষণ মুক্তির লড়াইতে অংশগ্রহণ করা। তাই তিনি পরিবারের জমিদারীর উত্তরাধিকার পরিত্যাগ করে বাড়ি ছেড়ে এক কৃষক পরিবারে এসে আশ্রয় নেন আর আমৃত্যু নিজেকে কৃষক, শ্রমিক মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিয়োজিত রাখেন।