ঢাকা | ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ - ১০:৩৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

সুসজ্জিত গাড়িতে বাড়ি গেলেন লক্ষ্মীপুরের অবসরপ্রাপ্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Friday, August 4, 2023 - 7:10 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 58 বার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর জেলার অবসরজনিত বিদায়ী পুলিশ সদস্যদের আনুষ্ঠানিক বিদায় সংবর্ধনায় ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে জেলা পুলিশ। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এমন ৫ সদস্যকে পুলিশের পক্ষ থেকে সুসজ্জিত গাড়িতে করে কর্মস্থল থেকে নিজ বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন নবাগত পুলিশ সুপার তারেক বীন রশীদ । এর আগে পুলিশ সুপার জেলার আইনশৃংখলা বিষয় নিয়ে সকল সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন ও সহযোগিতাও চেয়েছেন।

মঙ্গলবার (০১ আগষ্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে অবসরজনিত পুলিশ সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনার এ আয়োজন করা হয়। আর এমন আয়োজনে খুশি ও আনন্দিত বিদায়ী সদস্যরা।

তাদেরকে সংবর্ধনা প্রদানের উদ্দেশ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পিকআপ ভ্যানকে ফুলে ফুলে সুসজ্জিত করা হয়। এছাড়াও প্রত্যেককে ফুল দিয়ে স্বাগতম জানান পুলিশ সুপার।।

বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা হলেন, অমল কান্তি দত্ত (৩৮ বছর ০১মাস ২৮দিন), মোঃ মজিবুল হক, (৩৬ বছর ০৪মাস ২৭দিন), মোঃ আবু হানিফ (৩৫ বছর ০৬মাস ০৫দিন), মোঃ আবু তাহের, (৩৫ বছর ০৫মাস ২১দিন) এবং কেশব চন্দ্র দেবনাথ (২৫ বছর ০২ মাস ১১ দিন) তাদের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন সমাপ্ত করে অবসর কালীন ছুটিতে গমন করেন।

বিদায়ী সহকর্মীদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে তাঁদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন পুলিশ সুপার। যে কোনো বিদায়ই বেদনার আর এমন সময় যদি তাদেরকে হাসি মুখে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিদায় জানানো যায় সেটাই তাদের জন্য বড় পাওয়া।

এসময় বিদায়ী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ হাসান মোস্তফা স্বপন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সোহেল রানা, সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী, সহকারী পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) সাইফুল আলম চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) মাহমুদুল হোসাইন, ডিআইও-১ একেএম আজিজুর রহমান মিয়া, ওসি (ডিবি) সাহাদাত হোসেন টিটো ও আরআই (পুলিশ লাইন্স) মোঃ আবদুস সামাদ।

বিদায়কালে পুলিশ সুপার তারেক বিন রশীদ সদ্যবিদায়ী সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবনের বড় একটি অংশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টকর এবং একইসঙ্গে দায়িত্বশীল পদে চাকরি করে বিদায় নিয়েছেন। আপনাদের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি।

ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সে অনেক পুলিশ সদস্যের চাকরি জীবন শুরু হয়। তারপর কারও ৪০ বছর কারও ৪২ বছর দায়িত্ব পালন করতে করতে কেটে যায়। মনে করি তারা পুলিশের জন্য তাদের সারা জীবন দিয়ে দেন। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকেও তাদের জন্য সম্মান দেওয়া উচিত। শেষ দিনের সম্মানটুকু তারা হয়তো আজীবন মনে রাখবেন। কারণ তারা ভাববেন,যে ডিপার্টমেন্টে জীবন কেটেছে তাদের কাছ থেকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে পেরেছি। এসব চিন্তা করে তাদের জন্য এমন আয়োজন করা হয়।