সোহানুল হক পারভেজ, (রাজশাহী): রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর বদলে গেছে উপজেলার চিত্র। পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। পরিষদ ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ। বিভিন্ন দফতরে লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া। ফলে চেয়ারম্যান প্রশংসিত হচ্ছে।

বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না এমপি মহোদয়ের দলীয় চেয়ারম্যান হওয়ায় উন্নয়ন কাজে সহায়তা পেতে শুরু করেছেন। বর্তমানে এ উপজেলা পরিষদ চত্বরে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। অনেকেই তা দেখে মুগ্ধ হয়ে চমকে উঠছেন।

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তদবির করে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ অব্যহত রয়েছে।

তানোর উপজেলা পরিষদ এখন আর পূর্বের অবহেলতি উপজেলা পরিষদ চত্বর নয়। এখানে লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া। বর্তমান চেয়ারম্যানের আচার ব্যবহারে মুগ্ধ সাধারণ মানুষ। ফলে সর্বস্থরের মানুষের মাঝে চেয়ারম্যান প্রশংসিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ১০ মার্চ তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন। এরআগে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। সেখানে তিনি পরপর দু’বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে স্বপদে থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

১৩ই এপ্রিল স্বপথ নিয়ে পরিষদের চেয়ারে বসেন তিনি। সর্বস্তরের মানুষের উন্নয়ন ও সেবা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও এমপি মহোদয়ের হাতকে শক্তিশালী করতে দিন রাত পরিশ্রম করছেন। রাজশাহী জেলার অনুন্নত ও অবহেলিত তানোর উপজেলাকে দেশের মানচিত্রে উন্নত প্রথম শ্রেণির উপজেলা হিসেবে গড়তে বা চিহ্নিত করতে প্রচেস্টা চালাচ্ছেন।

এমন একটি উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর শুরু করেন কর্মপরিকল্পনা। প্রথমে গ্রামের হতদরিদ্র ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে জিও এনজিওর সহায়তায় বহুমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা হাতে নেন। শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভিজিত করেন। পরে কৃষিপ্রধান এ উপজেলাকে বিভিন্ন কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন।

এজন্য তিনি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে গিয়ে কৃষকের উন্নয়ন ঘটাতে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। উপজেলা কৃষি অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কৃষক সমাবেশের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলে পোকা-মাকড় সম্পর্কে কৃষকদের ধারণা দেয়া হয়। রোগ বালাই সম্পর্কে সর্তক করা হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এতে সহায়তা করেন। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন ঘটাতে মৎস্যজীবী খামারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সুব্যবস্থা করা হয়।

উপজেলা পরিষদের বহুতল আধুনিক ভবন নির্মাণ করতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এপ্রকল্পে তিনি উপজেলা চত্বরে ৪টি গেটের মধ্যে একটি অত্যাধুনিক গেট নির্মাণ করবেন। এছাড়া কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা চত্বরে ফুলের বাগান নির্মাণ করা হবে।

মাদক নিয়ন্ত্রণ, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম ও যৌতুকসহ নারীশিশু নির্যাতন রোধে পাড়ায় পাড়ায় ব্যানার ফেস্টুন বিলি করা হয়েছে। মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় এসব অপরাধের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করতে ইমাম, পুরোহিত ও ফাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়।
এসম্পর্কে তানোর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এঅঞ্চলের অবহেলিত নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে তিনি বদ্ধপরিকর।

এছাড়া সুবিধাবঞ্চিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে ও অধিকার পাইয়ে দেবার লক্ষ্যে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এখানকার জনগণের উন্নয়নে সুযোগ সৃষ্টি করে সেবা করার সর্বাধিক কৃতিত্ব এমপি মহোদয় ওমর ফারুক চৌধুরীর।