এমপিকে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকুকে ফুল দিয়ে বরণ করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের বসুরহাট বাজারে এ সংঘর্ষ বাধে।
ঘটনার পর বাজার এলাকায় চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম রিয়াজ ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল আনসারীর সমর্থকদের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের ভেতর ঘটনার সূত্রপাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন – আওয়ামী লীগ নেতা মো. মনির, চরশাহী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রুবেল, দিঘলি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইস্রাফিল। এরা বাবুল আনসারীর অনুসারী। যুবলীগ নেতা রিয়াজের তিন অনুসারী আহত হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সংসদ সদস্য ও জেলা আ.লীগের সভাপতি মো. গোলাম ফারুক পিংকুকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এসময় ফুল দিয়ে বরণ করাকে কেন্দ্র করে উপস্থিত আ.লীগের সহযোগী সংগঠনে নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজ ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল আনসারীর লোকজনের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। দুই গ্রুপের লোকজন সংসদ সদস্য পিংকুর সামনে হাতাহাতি করে। এসময় সংক্ষেপে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।
পরে দুই গ্রুপের লোকজন বসুরহাট বাজার এলাকায় গিয়ে দফায় দফায় হাতাহাতির মধ্যে জড়িয়ে পড়ে। লাঠিসোঁটা নিয়ে একপক্ষ আরেক পক্ষকে ধাওয়া দেয়। এতে দুই পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম রিয়াজ বলেন, বিকেলে এমপির হাতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে কী হয়েছে আমি জানি না।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল আনসারী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়েছে। তিনজন আহত হয়েছেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, এমপিকে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই এলাকা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। তারা বাজি ফুটিয়েছে।