পটুয়াখালীতে জাতীর জনকের জন্মবার্ষিকী উদযাপন না করায় এলাকাবাসীর ক্ষেপ প্রকাশ।
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন), পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৩ নং ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের ঘোপখালী হোসেনিয়া আলীম মাদ্রাসায় অদ্য (১৭ মার্চ রবিবার) জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২৪ ইং উদযাপন না করায় এলাকাবাসী ও অভিবাবক ও ছাত্র ছাত্রীরা ক্ষোপ প্রকাশ করেছে।
সকাল ১০ টায় সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে দেখা মেলে সকল শ্রেনীকক্ষ বন্ধ। এবং কোন ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিল না।
সরকারি নির্দেশনায় শিক্ষা মন্ত্রানালয় কতৃক গত ১০ ই মার্চ ২৪ ইং প্রেরিত পত্রে মাদ্রাসা প্রধানের উপস্থিতিসহ ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশনা ছিল অথচ উক্ত মাদ্রাসার মাওলানা মো,বশির উদ্দিনসহ সকল শিক্ষকবৃন্দ অনুপস্থিত ছিল।এবং ১৭ মার্চ এর কোন অনুষ্ঠান কিংবা কোন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি। যাতে ক্ষোপ প্রকাশ করেছে ছাত্র ছাত্রী অভিবাবক ও এলাকাবাসী।
মাদ্রাসায় উপস্থিত নৈশ প্রহরী নুর ইসলাম জানায়, আজকের অনুষ্ঠানের ব্যপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষো ভাল বলতে পারবেন। আমরা ছোট চাকুরী করি আমরা কিছু জানি না।
উক্ত মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কেন্ডিডেট মো,কামাল হোসেন ক্ষোপ প্রকাশ করে বলেন, জাতীর জনকের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের সরকারি নির্দেশনা থাকা সর্তেও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, কোন খুটির জোরে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে তা বোধ গম্য নয়।
আমি এবং এলাকাবাসী উক্ত ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবী করছি। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা
অধ্যক্ষ,আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল হাই বলেন, সকালবেলা মাদ্রাসায় শিক্ষক এবল ছাত্র ছাত্রীর উপস্থিতি না পেয়ে ফিরে এসেছি।
উপরোক্ত বিষয়ে বক্তব্য জানতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বশির উদ্দিন আহম্মেদ এর মুঠোফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া গেলে, তার বাড়ীতে গেলে তিনি জানান, আমি অনুষ্ঠান করার জন্য আগেই অনান্য শিক্ষকদের নিদর্শনা দিয়েছি,,তবে আমার শারীরিক অসুস্থতার কারনে মাদ্রাসায় উপস্থিত থাকতে পারি নাই।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১৭ মার্চ জন্মদিন উদযাপন না করায় এলাকাবাসীসহ ছাত্র ছাত্রী অভিবাবক ও এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।