খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে উত্তাল
মোঃ লায়ন ইসলাম, খানসামা(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ “সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় গঠন করতে হবে, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে, সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ করতে হবে” -এই ৪ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা সম্মিলিত সনাতনী ছাত্রজনতার আয়োজনে দেশের অধিকাংশ জেলার বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ও বাড়ী-ঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হিন্দু মা-বোন, ভাইদের নির্যাতন এবং হত্যার প্রতিবাদে( ১১ ই আগষ্ট) রবিবার উপজেলার পাকেরহাট চরণকালী মন্দির থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে গণ অবস্থান, মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে পুনরায় আবার চরণকালী মন্দিরে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি সমাপ্ত হয়।
“বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ, স্বস্তিতে বাঁচতে চাই” -এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উত্তাল সনাতনী ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জনগণের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আজিজার রহমান, রাশেদ মিলন, জনক রায়, মিঠুন দেব চঞ্চল রায়, প্রমুখ। বিভিন্ন ইউনিয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীরা। বক্তারা বলেন, এদেশ আমাদের। ১৯৭১ সালে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছি। অথচ দেশে ৫৪ বছর ধরে যে কোনো ইস্যুতে হিন্দুদের জানমালের উপর আঘাত করা হয়েছে এবং নারীদের উপর নির্যাতন-
অত্যাচারসহ হিন্দুদের সম্পত্তি ও মালামাল লুট করা হয়েছে। স্বাধীন দেশে আমাদের নিরাপত্তা নেই কেন? কিছু হলেই আমাদের মন্দির এবং বিগ্রহ ভাংচুর করা হয় কেন? হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ী-ঘরে আগুন লাগায় কারা? আমরা জানতে চাই। সে কারণেই আজ বাংলাদেশের সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায় ঘোষনা দিয়ে চার দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে আমরা রাজপথে নেমেছি। যতক্ষন পর্যন্ত সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করছে ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।