বুধবার সকালে নগরীর শহীদ ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বরে প্রায় শতাধিক সদস্যরা ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- হাবিলদার মোজাম্মেল, হাবিলদার নায়েব আলী, সাঈদ খান, সিপাহী ইউনুস আলী, আব্দুল মান্নান, সাজ্জাদ, আবু সাঈদসহ বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার-পরিজনরা। এ সময় বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালে ঐ হত্যাকান্ডের সময় বাংলাদেশ রাইফেলস্ (বর্তমান বিজিবি)তে বিভিন্ন ইউনিটে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলাম। ঐ সময়ে ঢাকার সদর দপ্তর পিলখানায় বিগত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতীয় এজেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাইফেলসের সুদক্ষ ৫৭ সেনা অফিসারসহ মোট ৭৪ জনকে নির্মম ও
পৈশাচিকভাবে হত্যা করে এবং নিহত সদস্যদের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাসহ সদস্যদের হত্যার হুমকি ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিলখানা চত্বরে কর্তব্যরত সারাদেশের বিভিন্ন ইউনিটের বিভিন্ন ক্যাম্পে কর্তব্যরত নির্দোষ ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের প্রহসনমূলক বিচারের নামে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান ও চাকরিচ্যুত করা হয়,
যা প্রচলিত আইন বিরোধী।যা সেনা আইন, আন্তর্জাতিক আইন বা প্রচলিত আইন কোন আইনই বিচারকে সমর্থন করে না। এটা সম্পুন্ন আইন বিরোধী, বেআইনি ও অবৈধ। বর্তমানে আমরা চাকরিচ্যুত (জোয়ানরা) পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমরা বলতে চাই এটি একটি ইতিহাসের কালো অধ্যায়। গত ২০২৪ সালের ৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর বর্তমানে অন্তর্বর্তকালীন সরকার গঠিত হওয়ায় আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি। আপনারা জানেন ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল বিগত স্বৈরাচারী সরকার।
আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবি জানাচ্ছি অতিদ্রুত চাকরিচ্যুত জোয়ানদের পুনরায় চাকরিতে পূর্ণবহাল ও পিলখানায় বিডিআর হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হউক। মানববন্ধন শেষে হাবিলদার মোজাম্মেল, সিপাহী মোঃ ইউনুস আলীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।