বাঘার আড়ানীতে গোখাদ্য দিয়ে তৈরী আখের গুড়
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে আকর্ষিক বন্যার কারনে চাহিদা থাকে শুকনা খাবার গুড়ের। আর তাতে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গুড় আমদানি। ভারত থেকে আমদানি কৃত মানুষের খাবার অনুপযোগী গুড় দেশে এনে অসাধু উপায়ে করা হচ্ছে বাজারজাত। এমন সংবাদের ভিত্তিতে যাচাই করতে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারের সরজমিনে গিয়ে পাওয়া যায় এ ঘটনার সত্যতা। বাজারের একটি গুড়ের আড়ৎ হাজার হাজার টিন গুড় দেখে তথ্য সংগ্রহ করতে এগিয়ে যায় সাংবাদিক। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে নিমিষেই পালিয়ে যায় ব্যাবসায়ী।
পরবর্তীতে গুড় কারখানার সন্ধান পেয়ে সেখানে গিয়ে হাজির হয় সাংবাদিকরা। সেখানকার কর্মচারীরা জানান এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না, এইসব গুড় ইন্ডিয়া থেকে দেশে আসে খাওয়ার জন্যই। ব্যবসায়ীরা কিভাবে আনে তা তারা বলতে পারেনা ।
আড়ানী বাজারের এক পাহাড়াদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আপনার উপর থেকেও তো লোক আসছে, ভোক্তাঅধিকার আসছে ,বিএসটিআইয়ের লোক আসছে অনুমোদন আছে তো।
আড়ানী বাজারের এক মুদি ব্যাবসায়ী বলেন, এসকল গুড় ইন্ডিয়া থেকে দেশে আসে গরুর গোখাদ্য হিসেবে। এই গুড় গুলো কিছু ব্যবসায়ী কারখানায় প্রসেসিং করে মানুষের খাওয়ার জন্য বাজার জাত করে। গুড় গুলো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয়। এই গুড় খেলে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে বলে শুনেছি।
সচেতন মহল জানান, আড়ানী তে ছোট বড় সব মিলিয়া প্রায় ২০০র বেশি গুড় কারখানা রয়েছে। এর আগে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর থেকে অসংখ্য বার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, তবে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়নি।
স্থানীয় দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আড়ানী তে যেসকল গুড় ব্যাবসায়ী রয়েছে তারা প্রায় সবাই আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের আত্মীয়-স্বজন বা মাসোহারা দিয়ে কার্যক্রম চলমান রাখতো। তবে এসকল অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য যারা খাটি আখের গুড় তৈরিকারক (কৃষক) তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, গুড় মানসম্মত নয় অথবা মানুষের খাবার উপযোগী নয়, এরাকম যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মানুষেরা দেয় সেগুলো আমরা তদারকি করবো এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।